৭ জুন থেকে ওভালে শুরু হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রান করে অজিরা। আর রান তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত। পরপর উইকেট হারায় শুভমন গিল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারারা। আর এখানেই উঠল গুরুতর অভিযোগ। WTC ফাইনালে বল বিকৃত করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলি। বাসিত আলি দাবি করেছেন যে, কোহলি এবং শুভমন যে বলগুলিতে আউট হয়েছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলের এক দিক বেশি চকচকে ছিল। এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই কীভাবে বলের সেলাইয়ের এক দিকের পালিশ নষ্ট হয়ে গেল।

এই নিয়ে বাসিত আলি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “প্রথমত, যাঁরা ধারাভাষ্য বক্স থেকে ম্যাচ দেখছেন, এবং আম্পায়ারদের জন্য আমি হাততালি দেব? অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার ভাবে বলের বিকৃতি করছে এবং কেউ এটা নিয়ে কথা বলছে না। কোনও ব্যাটার ভাবছে না কি হচ্ছে? সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল ব্যাটাররা বল ছাড়ার সময় বোল্ড হচ্ছেন। আমি আপনাকে প্রমাণও দিতে পারি। ৫৪তম ওভার পর্যন্ত যখন শামি বল করছিলেন, তখন বল বাইরের দিকে চকচকে ছিল এবং বলটি স্টিভ স্মিথের দিকে ফিরে গিয়েছিল। একে রিভার্স সুইং বলা হয় না। রিভার্স সুইং হয় যখন সাইন ভিতরে থাকে এবং বল ভিতরে আসে।”
এরপরই তিনি বলেন,”ভারতের ইনিংসে ১৬তম, ১৭তম এবং ১৮তম ওভারের দিকে তাকান, বিরাট কোহলি যে বলে আউট হয়েছিলেন, সেই বলটি ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন, মিচেল স্টার্কের হাতে বল ছিল। বলের চকচকে প্রান্তটি বাইরের দিকে ইশারা করে কিন্তু বলটি অন্য দিকে যাচ্ছিল। জাদেজা বলটি অন-সাইডে মারছিলেন এবং বলটি পয়েন্টের উপর দিয়ে উড়ছিল। আম্পায়াররা কি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন? বল বিকৃত করা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অথচ আম্পায়ার বা বিসিসিআইকে কিছুই বলতে দেখলাম না। ভারত আমার দল নয়। আমি পরিচ্ছন্ন ভাবে খেলা দেখি। অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই বল বিকৃত করেছে। ক্যামেরুন গ্রিনের বলে পুজারার আউটটা দেখেও কেউ কিছু বলেনি দেখে আমি বিস্মিত। বিসিসিআই বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী বোর্ড। তারও কিছু দেখতে পেল না!ঈশ্বর জানেন, কারা সেখানে বসে আছেন, যাঁরা এত সহজ জিনিস দেখতে পাচ্ছেন না।”
আরও পড়ুন:ট্রান্সফার মার্কেটে আবার ঝড় তুলল মোহনবাগান, চেন্নাইয়ানের এই ফুটবলারকে নিতে চলেছে সবুজ মেরুন
















































































































































