কদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের শুরু আদিবাসীদের আন্দোলন। আদিবাসীদের স্বীকৃতিদানের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী ফোরাম। এর জেরে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে সকাল থেকেই বন্ধ বাস চলাচল । একাধিক করেও চলছে বিক্ষোভ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যদিও বনধের জেরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একাধিক জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন:২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী বদল করতে হবে, তৃণমূল কর্মী -সমর্থকদের বার্তা কুণালের
কী কারণে বনধ?
মূলত কুড়মি, মাহাতদের তফশিলি উপজাতির হওয়ার জন্য সিআরআই রিপোর্ট ফিরে পাঠানোর দাবির বিরোধিতা করে এই বনধের ডাক দিয়েছে ২৬টি আদিবাসী সংগঠন।
বনধের জেরে সকাল থেকেই শুনসান বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ড চত্বর। বনধ সফল করতে বালুরঘাট হিলি মোড়, থানা মোড় সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং শুরু হয়েছে। বাঁকুড়া জেলাতেও হেভির মোড়, পুয়াবাগান মোড়, বাংলা জয়েন্ট মোড় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পথ অবরোধ শুরু করেছেন আদিবাসীরা। এর জেরে সকাল ৬ টা থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক, ৬০ এ জাতীয় সড়ক সহ জেলার প্রায় সমস্ত রাজ্য সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে,কাটোয়াতেও বন্ধ সফল করতে মরিয়া আগিবাসীরা। কাটোয়া শহরের প্রবেশ মুখেই জাজিগ্রামে আদিবাসী সংগঠন রাস্তা অবরোধ করে। সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন বনধ সমর্থকরা । এর প্রভাবে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।ঘটনাস্থলে রয়েছে কাটোয়া থানার পুলিশ। বিভিন্ন যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।মেদিনীপুর শহরেও লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন বাস। সাত সকালে মূল প্রভাব পড়েছে গণপরিবনে। রাস্তায় নামেনি কোনও বাস।








































































































































