বিয়ের পর থেকেই স্বামীর লাগাতার অত্যাচারের জেরে অতিষ্ঠ স্ত্রী। তবে সেই দাম্পত্য কলহের জেরেই এবার প্রাণ গেল দেড় বছরের সন্তানের। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) নন্দকুমারে (Nandakumar)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে অভিযুক্ত স্বামীর শাস্তির বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন একরত্তির মা। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি (Search Operation) অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ভগবৎ পাল। পেশায় জুটমিল শ্রমিক। পাশাপাশি স্ত্রীর নাম মঞ্জুশ্রী বেড়া পাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রেমিক ভগবৎকে বিয়ে করেন মঞ্জুশ্রী। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় প্রবল অশান্তি। তবে দিন যত এগোয় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। এরই মাঝে একটি পুত্র সন্তান দেবরাজ পালের জন্ম দেন মঞ্জুশ্রী। তারপরও অশান্তি কমেনি বরং বাড়তে থাকে। এরপর বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি চলে যান মঞ্জুশ্রী। সন্তানকে নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু সেখানেও নিস্তার ছিল না। মাঝে মধ্যেই শ্বশুর বাড়িতে এসেও স্ত্রীর ওপর চড়াও হত ভগবৎ। এই নিয়ে একাধিকবার অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। ইতিমধ্যে দাম্পত্য কলহের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিকবার পুলিশেও অভিযোগ জানানো হয়েছে ভগবতের বিরুদ্ধে।
মঞ্জুশ্রীর পরিবারের দাবী, মঙ্গলবার ভগবৎ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে এসে সবার আড়ালে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্ত্রী সংজ্ঞা হারালে এরপর রাগ গিয়ে পড়ে ছোট্ট শিশুর ওপর। তাঁর হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে শিশুটিকে খুন করে বাড়ির পেছনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে মঞ্জুশ্রীর পরিবারের লোকজন বাড়ি এসে তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে বাড়ির পিছন থেকে শিশুটির মৃত দেহ উদ্ধার হয়।














































































































































