বিজেপির (BJP) সভা ঘিরে বিশৃঙ্খলা ছড়াল হুগলির (Hoogly) ব্যান্ডেল মোড় (Bandel More) এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার বিজেপির সভা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও এদিন ব্যান্ডেল মোড়ে জোর করে সভা করার চেষ্টা করে বিজেপি। পরে পুলিশ বাধা দিতে গেলেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা (Trinamoole Nabojowar) উপলক্ষে বর্তমানে হুগলিতে রয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেকারণেই অভিষেককে ভয় পেয়ে পাল্টা হুগলিতে সভা করার পরিকল্পনা ছিল গেরুয়া শিবিরের। পাশাপাশি অভিষেকের জনজোয়ার কর্মসূচি যাতে অশান্তি করে বিঘ্নিত করা যায় সেই লক্ষ্যেই এবার বড় পদক্ষেপ বিজেপির। তবে এসব করে আসলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তবে এদিন সভা বানচাল হয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা কি বাবার জমিদারি চলছে নাকি? তবে এমন মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কথায় শালীনতা থাকা উচিত বলে কটাক্ষ তৃণমূলের (TMC)।
সোমবার হুগলির ব্যান্ডেল মোড়ে সভা করার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পুলিশি অনুমতি উপেক্ষা করেই সেই সভামঞ্চ তৈরিও হয়েছিল। কিন্তু সেই সভার কোনও পুলিশি অনুমতি ছিল না। সেকারণেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সভামঞ্চ খলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসা শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। সভামঞ্চ খুলতে বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপরেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।
এদিকে ঘটনায় হুগলি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক আচ্ছেলাল যাদব (Acche Lal Yadav) বলেন, সুকান্ত মজুমদারের ভাষায় শালীনতা থাকা উচিত। সব কিছুর জন্য প্রশাসন আছে। সব জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছে বিজেপি। আর সুকান্তকে এমনিতে কেউ ভয় পায়না উনি তৃণমূলকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। রাজনীতিতে ভাষার শালীনতা থাকা উচিত।