পাকিস্তানকে কাছে টানার ষড়যন্ত্রে কিছুটা সফল হওয়ার পরে ভারতকে কোণঠাসা করতে চেয়ে এবার বাংলাদেশেকে (Bangladesh) পাশে পেতে চাইছে চিন (China)। কিন্তু কৌশলগতভাবে ভারতকে (India) ঘিরে ফেলার চেষ্টা নস্যাৎ করে বাংলাদেশ পাশে থাকার ইঙ্গিত দিল বাংলাদেশ। চিনের সঙ্গে বৈঠকের পরেও ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা বিষয়ে জোর দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডের (Manoj Pandey) সঙ্গে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা হাসিনা। তিনি বলেন, দারিদ্রই দেশের প্রধান শত্রু। “দারিদ্র এই অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু এবং এই অঞ্চলের দেশগুলিকে দারিদ্র দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
মনোজ পাণ্ডে বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা মসৃণভাবে এগিয়ে চলেছে। হাসিনাকে আশ্বস্ত করে জেনারেল পাণ্ডে জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে আগামী দিনেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। সেখানকার আধুনিকীকরণে তিনি মুগ্ধ বলেও জানান ভারতের সেনাপ্রধান।

অস্ত্র রফতানিতে আন্তর্জাতিক বাজারে শীর্ষে আমেরিকা। তারপরই রাশিয়া। এবার সেই বাজার দখলে উঠে পড়ে লেগেছে চিন। তাদের থেকে প্রচুর হাতিয়ার কিনেছে বাংলাদেশও। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে পাশে পেতে মরিয়ে চিন। ক্ষেত্রে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে লাল ফৌজের সুবিধা হবে। কিন্তু বাংলাদেশ যে প্রতিবেশী ভারতের উপরই ভরসা রাখছে, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।







































































































































