বালাসোরে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। উদ্ধার কাজ যতই এগিয়েছে, ততই লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। আহত হাজারের বেশি। ঘটনাস্থলে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা সময় উদ্ধারকাজ দেখেন তিনি। মৃত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি।
ঠিক সেই আবহে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র তোপ দাগের। বিরোধীদের। এই ঘটনার সময়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকলে বিজেপি, সিপিএম থেকে কংগ্রেস রে রে করে উঠত। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে যেত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পথে না হেঁটে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
কুণাল বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে একটি টুইটে লেখেন, ”আজ যদি রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হত, তাহলে বিজেপি, সিপিএম, রাজ্য কংগ্রেস ঠিক কী কী বলত, ব্যাখ্যা দিত, দাবি করত, ভেবে নিন। কিন্তু আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিভাবকত্বে উদ্ধার, ত্রাণ, এবং যোগাযোগের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকার সক্রিয়। বাকি কথা পরে হবে।”
আজ যদি রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হত, তাহলে বিজেপি, সিপিএম, রাজ্য কংগ্রেস ঠিক কী কী বলত, ব্যাখ্যা দিত, দাবি করত, ভেবে নিন।@AITCofficial কিন্তু আজ @MamataOfficial র অভিভাবকত্বে উদ্ধার, ত্রাণ এবং যোগাযোগের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকার সক্রিয়।
বাকি কথা পরে হবে।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 2, 2023
আরও একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দাগেন তিনি। বাংলার বুকে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই সেখানে রাজনীতি দেখা হয়। দুর্ঘটনা বলেকয়ে আসে না। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় উড়ালপুল দুর্ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ মোদি। দুর্ঘটনা ও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন। সেই কথাই এদিন স্মরণ করিয়ে কুণাল লেখেন, “কলকাতায় উড়ালপুলের একাংশ ভাঙার পর মোদিজি বলেছিলেন, ‘বাংলাকে শাসকদলের হাত থেকে বাঁচাতে ঈশ্বরের বার্তা’। মনে পড়ে? আজ তাহলে কার কীসের বার্তা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী?”
কলকাতায় উড়ালপুলের একাংশ ভাঙার পর মোদিজি বলেছিলেন,” বাংলাকে শাসকদলের হাত থেকে বাঁচাতে ঈশ্বরের বার্তা।” মনে পড়ে?
আজ তাহলে কার কীসের বার্তা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী? pic.twitter.com/UfwC0aKlNX— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 3, 2023