রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে প্রতিহিংসার পথ বেছে নিয়েছে বিজেপি। ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা। আজ, শুক্রবার দিল্লির তিহাড় জেলে গিয়ে গরুপাচার কাণ্ডে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে দেখা করেন দুই প্রতিনিধি রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। ঘন্টাখানেক সাক্ষাতের পর বাইরে বেরিয়ে দোলা সেন বলেন, “সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিহিংসা থেকে আটকে রাখা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর মেয়ে সুকন্যা তো রাজনীতি করেন না, তাকেও জেলে রাখা হয়েছে। এভাবে আমাদেরও হয়তো কোনওদিন জেলে পুরে দেবে।” তাঁরা আরও জানান, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে শারীরিকভাবে এখন সুস্থ। শারীরিক সমস্যা হলে জেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশাবাদী তাঁরা।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি সামনে আসতেই তড়িঘড়ি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে ছেঁটে ফেলে তৃণমূল।
কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার প্রতি এখনও সহানুভূতিশীল বাংলার শাসক দল তৃণমূল। গরুপাচার মামলায় বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেল-ই ঠিকানা বাবা-মেয়ের। সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অনুব্রত মন্ডলের। সেই আবহে দাঁড়িয়ে দলের নির্দেশে এবার তিহাড় জেলে গেলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাংসদ দোলা সেন ও অসিত মাল জেলে গিয়ে তাঁরা অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের খবর নেন। পাশে থাকার বার্তা দেন।
এর আগে তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতারা বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলগতভাবে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা দেন। তবে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম দলের তরফে কেউ জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। আনুব্রত এখনও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদে বহাল। তাঁকে সাংগঠনিক পদ থেকেও সরায়নি তৃণমূল। আর দল থেকে বরখাস্ত করার তো প্রশ্ন-ই ওঠে না! বরং, দল যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কেষ্টহীন বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই আরও জোরদার করার বার্তা দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেষ্টহীন বীরভূমের সাংগঠনিক দায়িত্বভারও নিজে কাঁধে তুলে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন:চাকরি বিক্রির ৭০ লক্ষ টাকা কোথায় বিনিয়োগ? সুজয়কৃষ্ণর কাছে সদুত্তর চাইছে ইডি