ঘোর বিপাকে শুভেন্দু, সারদাকর্তার চিঠি সিবিআইকে ত*দন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

0
1

এবার বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভা সংক্রান্ত তোলাবাজিতে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিলেন আদালত। আজ, বুধবার সিএমএম এজলাসে সারদাকর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন করেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। আদালত শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানান। অর্থাৎ, সারদাকর্তার চিঠির ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যদি কোনও জেলবন্দির চিঠি নিয়ে এত কিছু হয়, তাহলে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন যে চিঠি দিয়েছে আদালতে লিখিত আকারে, তার ভিত্তিতে কেন তদন্ত হবে না। কেন ডাকা হবে না শুভেন্দুকে। যেখানে সারদাকর্তা তাঁর চিঠিতে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন, কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারী এবং অধিকারী ব্রাদার্স তাঁকে কিভাবে ব্ল্যাকমেইল করেছে, তোলাবাজি করেছে। সেই চিঠির ভিত্তিতে আজ শুনানির পর বিচারক সুদীপ্ত সেনের চিঠি সিবিআইকে পাঠিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ নিয়ে বারে বারে সরব হয়েছে তৃণমূল। অনেক ক্ষেত্রেই বেছে বেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিজেপির শাখা সংগঠনের মতো কাজ করছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলি। রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। যেমন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারে জনজোয়ার দেখে ভীত হয়ে বিজেপি সিবিআইকে কাজে লাগিয়েছে। জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের একটি মন্তব্য ও চিঠিকে হাতিয়ার করে কথার জাগলারিতে মামলা করে সাড়ে ৯ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে।

কিন্তু সারদা-নারদায় অভিযুক্ত ইডি-সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। যা নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, সারদাকর্তার চিঠির পরও কেন অন্ধ এজেন্সি? সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন আদালতে শুভেন্দুর নামে অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি ফের একটি চিঠি দিয়েছেন। যেখানে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে সুদীপ সেন পিজিনার্স পিটিশনে আইন মেনে চিঠি লিখে বিচার চেয়েছেন। বিরোধীরা বলছে, সেই চিঠি নাকি সুদীপ্ত সেনের নয়। আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি, কাঁথি পুরসভায় সারদাকর্তা ৫০ লক্ষ টাকা ড্রাফটে ও ২০ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছে। পুরসভায় সারদার টাকা আছে না নেই? সেটা তদন্ত করলেই তো বিষয়টি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। কেন সেটা করছে না এজেন্সি।

কুণাল আরও বলেছিলেন, “নথি তো ভুল কথা বলবে না। শুভেন্দু কাঁথি নিয়ে গিয়েছিল সুদীপ্ত সেনকে, ওর ভাই সৌমেন্দু সেই সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিল। বিষয়টি কোর্টে আছে। কিন্ত সিবিআই কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইডি এদিক ওদিক যাচ্ছে কিন্তু কাঁথি পুরসভায় যাচ্ছে না। অন্য জায়গা থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হলেও, কেন কাঁথি পুরসভায় তারা গিয়ে তদন্ত করছে না? শুভেন্দু ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা কীভাবে ভয় দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে সুদীপ্ত সেনের থেকে টাকা নিয়েছিল। আর ব্যাংক ড্রাফটের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে একই যুক্তিতে নগদে টাকা নেওয়ার কথাও সত্যি। আমার সঙ্গে চলুক সংবাদ মাধ্যম। ইডিকেও জানাবো বিষয়টি। আর ২২তলা বহুতল করবে বলে সুদীপ্ত সেনকে কাঁথি নিয়ে গেছিল শুভেন্দুরা। কিন্তু সেটা ওই পুরসভার এখতিয়ারে নেই। তাহলে কেন টাকা নিয়েছিল? সেই টাকা কোথায়?”