কোন্নগরে বিজেপির মিটিংয়ে গোষ্ঠীদ্ব*ন্দ্ব প্রকাশ্যে

0
1

হুগলির কোন্নগর মাস্টারপাড়া এলাকায় বিজেপির মিটিংয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।কথা কাটাকাটি,অশ্লিল ভাষা থেকে হাতাহাতি বাদ গেলোনা কিছুই।আর এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়,প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।আর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির।

ঘটনাটি ঘটেছে কোন্নগর মাস্টারপাড়া এলাকায়।এই এলাকার বিজেপি সমর্থক শিখা ভট্টাচার্যের বাড়ির নিচে প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র।আর উপরের ছাদেই হয় বিজেপির মিটিং।আর সেই মিটিংয়েই ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেলো বিজেপি কর্দেমীদের মধ্যেই।এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাড়ির মালিক শিখা ভট্টাচার্য।তিনি বলেন, তার বাড়ির ছাদে মিটিং করার জন্য অনুমতি চায় বিজেপি।তাদের মিটিং করার অনুমতি দেওয়া হয়।কিন্তু মিটিং চলাকালীন বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা তারপর হাতাহাতি।

এই ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকার মানুষ ওই বাড়ির সামনে ভিড় জমান।বিজেপির এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি থেকে অন্যান্য নেতা কর্মীরা।এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য শিখা ভট্টাচার্যের কাছে অভিযোগ জানায় যে এই ঘটনায় এলাকার শান্তি নষ্ট হচ্ছে।

শিখা ভট্টাচার্য বলেন, আর কোনোদিন বিজেপির মিটিং তার বাড়িতে করতে দেবেন না।এই দল ক্ষমতায় না এসেই এই অবস্থা আর ক্ষমতায় এলে কি করবে।এই ঘটনায় বাড়ির নিচের প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি দোকানের জনৈক কর্মচারী বলেন, যখন মিটিং চলছিল তখন তারা দোকানেই ছিলেন।মিটিংয়ের মাঝেই শুরু হয় নিজেদের মধ্যে ঝামেলা সেখান থেকে হাতাহাতি।ভিড় জমে যায় বাড়ির নিচে।

এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ওই বাড়িতে প্রায় বিজেপির মিটিং হয়,কিন্তু কাল মিটিংয়ে ঝামেলা এমন শুরু হয় যে তারা এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এরপর তারা এই ঘটনা প্রশাসনকে জানাবেন।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব সময় ছিল এবার সেটা মানুষের সামনে আসছে।মানুষ দেখুক এই দল কেমন।তার কাছে আগেও এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন।এবার প্রশাসনকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।তবে দলের গোষ্ঠীকোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি শিবির।