“ক্ষমতা থাকলে আমাকে ED-CBI দিলে তোলাও। দেখি তোমার মোদিজি আর অমিতজির কত ক্ষমতা। আমার কাছে মানুষ আছে।” মঙ্গলবার, মেদিনীপুরের পটাশপুর বাজারে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Shubhendu Adhikari) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে সারা বাংলা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তাঁর জনসংযোগ যাত্রায় জনজোয়ার। আর তা দেখেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে বিরোধীদের।

শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে রাজনীতি করে, তাদের রেয়াত করি না। ৩৫টার মধ্যে ১৩+৭+৪ মানে ৩৫টার মধ্যে ২৪টা জিতেছে। ED-CBI থেকে বাঁচতে গদ্দারি করে বিজেপিতে গিয়েছে।“ তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, লোডশেডিং-এর বিষয়টা সবাই জানে। লাইট বন্ধ করে কারচুপি হয়েছে। এখন বিষয়টি বিচারাধীন।
এরপরেই তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ”এত ভয় কীসের? সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ‘ভাইপো’ ‘ভাইপো’। নাম নেয় না।” অভিষেকের কথায়, “ভারতের রাজনীতিতে সব থেকে বড় গদ্দারের নাম শুভেন্দু অধিকারী। ও ঘুষেখার, বুক ঠুকে বলছি। এখন সনাতনী সেজেছে।“

২০০০ টাকার নোট বাতিল নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, “এদের বরাবর তুঘলকী সিদ্ধান্ত। কখনও নোটবাতিল, কখনও আবার লকডাউন। টাকা বদলাতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ১৪০ জন মারা গিয়েছে। এখন আবার নোটবন্দি। পালটানোর রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু দৃষ্টিভঙ্গি পালটায়নি।”
বাংলার প্রাপ্য আটকে দেওয়ার বিষয়ে নিয়ে বিজেপি নেতাদের তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “চিঠি লিখে বলছে দিল্লির মালিককে বাংলার টাকা আটকে দাও“। এদিন নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের গিয়েছেন অভিষেক। প্রথম কর্মসূচি ছিল পটাশপুর বাজারের ভাঙ্গড় চকে। তারপর এগড়ায় রোড শো করেন। কাঁথিতে রাতে থাকবেন অভিষেক।
আরও পড়ুন- গঙ্গায় পদক বি.সর্জন দিতে গিয়েও থমকালেন সাক্ষী-বিনেশরা, কেন্দ্রকে ৫ দিনের সময়সীমা





































































































































