ভরসা ‘মুশকিল আসান’-এ! অভিষেকের অপেক্ষায় বলাগড়

0
10

শেষ ভরসা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেকারণেই স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অভিষেককে জানানোর সিদ্ধান্ত নিল হুগলির (Hoogly) বলাগড়বাসীরা। জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার বলাগড় বিধানসভা এলাকার গুপ্তিপাড়া হাসপাতাল (Guptipara Hospital) ও বলাগড়ের সুখরিয়া হাসপাতাল (Sukhariya Hospital) এই দুই হাসপাতালের অবস্থাই বর্তমানে শোচনীয়। যেখানে এই বিধানসভা এলাকার মানুষের প্রধান ভরসা এই দুই হাসপাতাল। কিন্তু গুপ্তিপাড়া হাসপাতালে সবসময় পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের। দিনে মেরেকেটে এক ঘণ্টার জন্য ডাক্তার আসে এবং তিনি চলে গেলেই বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতাল। সুখরিয়া হাসপাতালের ছবিটাও একই। আর এই অবস্থা থেকে পাকাপাকিভাবে নিষ্কৃতি পেতে বলাগড়বাসীর কাছে একমাত্র ভরসা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার কর্মসূচী (Trinamoole Nabojowar) শুরু করেছেন অভিষেক। পায়ে হেঁটে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগ বাড়াতে পদযাত্রা করছেন তিনি। আর এমন পরিস্থিতিতে অভিষেক সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনছেন এবং আইন মেনে তৎক্ষণাৎ তা সমাধান করছেন। অভিষেকের এমন উদ্যোগে বেজায় খুশি রাজ্যবাসী। উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুন তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে বলাগড়ে আসছেন অভিষেক। আর সেইদিনই তাঁকে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকার বাসিন্দা প্রভাত দাস বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে গুপ্তিপাড়া হাসপাতালের উন্নতি করেন। কিন্তু এরপর আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় এই হাসপাতাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ সমস্যার কথা জানালেই তিনি সেই সমস্যা সমাধান করছেন, তাই অভিষেক ৭ তারিখ বলাগড়ে এলে তাঁকে অভাব অভিযোগের কথা জানানো হবে এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে।

অপর এক বাসিন্দা রাজা বাগচি বলেন, গুপ্তিপাড়া হাসপাতাল আগে খুবই ভালো ছিল। প্রসূতি বিভাগও বেশ উন্নত ছিল। কিন্তু আচমকাই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। মাত্র এক ঘন্টার জন্য ডাক্তার আসর পর তিনি চলে গেলেই বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে হাসপাতাল। এলাকার মানুষদের কোনও সমস্যা হলে চুঁচুড়া বা বর্ধমান হাসপাতালে ছুটে যেতে হয় তাঁদের।

তবে এলাকাবাসীদের মতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল করতে তাঁদের ভরসা একমাত্র অভিষেক। তাই স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে একমাত্র ভরসা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।