কর্নাটকে(Karnataka) বিপুল সাফল্যের পর লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election) আগে রীতিমতো চাঙ্গা হাত শিবির। তবে দেশের সবচেয়ে বড় নির্বাচনের আগে চলতি বছর ৫ রাজ্য ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন। এই ৫ রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রাজস্থানকে(Rajsthan) নিয়ে। হাইকম্যান্ড স্পষ্ট বুঝে গিয়েছে। রাজস্থানে বিজেপি নয়, কংগ্রেসকে হারাতে পারে শুধু কংগ্রেস(Congress)। তাই যেভাবে হোক ঘরোয়া কোন্দল মেটাতে মরিয়া গান্ধী-খাড়গেরা। ফল স্বরূপ সোমবারই অশোক গেহলট(Ashok Gehlot) ও শচীন পাইলটকে(Sachin Pilot) নিয়ে বৈঠকে বসছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

আসলে দিল্লি কংগ্রেসের পরিকল্পনা যেভাবে কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের কোন্দল মিটিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে ঠিক সেভাবেই রাজস্থান সমস্যা মেটাতে চায় হাইকম্যান্ড। বছরখানেক আগে পাইলটের বিদ্রোহের পরে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বৃহত্তর বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে গেহলটের পক্ষে। ফলে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচনে যাবে কংগ্রেস। শচীন পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে প্রদেশ সভাপতির পদ। বর্তমান প্রদেশ সভাপতি তথা গেহলট অনুগামী গোবিন্দ সিং ডোতাসরাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপাতত বোঝানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি শচীনের যাবতীয় অভিযোগ যে কংগ্রেস নেতৃত্ব খতিয়ে দেখবে, সেই আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে যুবনেতাকে।
তবে শুধু রাজস্থানই নয়। রাজনৈতিক অঙ্ক বলছে মধ্যপ্রদেশেও ভাল ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেসের। তাই এখন থেকেই সেখানেও কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চাইছে দল। সোমবার সকালে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ নেতৃত্বকে নিজের বাসভবনে ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতৃত্ব, প্রদেশ সভাপতি-সহ রাজ্যের প্রায় ১২ জনকে ডাকা হয়েছে। তার আগে দিল্লির অধ্যাদেশ সম্পর্কে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন খাড়গে।













































































































































