মূল অভিযুক্ত রাজেশের পাশে শুভেন্দু! কনভয় হামলার ঘটনায় বিজেপি যোগ আরও স্পষ্ট

0
1

ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় লক্ষ্য করে হামলা। অল্পের জন্য অভিষেক রক্ষা পেলেও আক্রান্ত রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ইট-পাথর-মদের বোতল ছুঁড়ে ভাঙচুর করা হয় বীরবাহার গাড়ি। গুরুতর জখম তাঁর গাড়ির চালক। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যও। শুরু থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ ছিল এই ঘটনায় মদত ছিল বিজেপির। টাকা ছড়িয়ে তারা কুড়মিদের একাংশকে বিভ্রান্ত করেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে জাতিদাঙ্গায় পরিণত করার চেষ্টা করছে। কুড়মিদের মুখোশের আড়ালে বিজেপির জল্লাদরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন:অভিষেক-বীরবাহার কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্ত করবে CID

গড় শালবনিতে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার ওপর হামলায় বিজেপির হার্মাদরাই জড়িত বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁদের অভিযোগেই সিলমোহর পড়ল। এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ শনিবারই গ্রেফতার হয়েছেন কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকশরী। রাজেশ মাহাতর পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইটও করেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের দাবি, গদ্দারের ট্যুইটেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই হামলার নেপথ্যে আসলে কারা বা কাদের উর্বর মস্তিষ্ক ছিল।

শুভেন্দু বলেন, “যেভাবে যা আন্দোলন হচ্ছে, তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমি রাজেশ মাহাতোকে বলব আইনি পথে লড়তে।” রাজেশ মাহাতোকে শুভেন্দুর পরামর্শ, “আমি বলব এই যে প্রতিহিংসাপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আইনি লড়াই লড়ুন। যদি নিজে পারেন ঠিক আছে। তা না হলে আইনি লড়াইতে বিরোধী দলনেতার সাহায্য দরকার হলে, আমি করব। বিরোধী দলনেতা মানেই রাজ্য সরকার ও শাসক দলের দ্বারা আক্রান্ত যে কারোর পাশে দাঁড়ানো।”

শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের পরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পালটা ট্যুইট করে বলেন, কনভয়ে হামলার চক্রান্তে জড়িত থাকার জন্য রাজেশ মাহাত গ্রেফতার। তার সমর্থনে বিবৃতি দিচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। এর থেকেই প্রমাণিত হামলার পিছনে কারা।

প্রসঙ্গত, গড়শালবনিতে অভিষেকের কনভয়ে আদতে কারা হামলা চালিয়েছেন,তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু ঘটনার পরই কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতোর নাম প্রথম সামনে এনেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, “আমি দেখেছি রাজেশ মাহাতোকে গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কেন এইভাবে ইট ছোড়া হল? তিনি বলেন, আমি কীভাবে জানব। বহিরাগতদের কাজ হতে পারে।”