অভিষেকের কনভয়ে হাম.লার ঘটনায় আটক ৪!

0
1

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয়ে হামলার অভিযোগ (Attack on Abhishek Banerjee’s Convoy)। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ (Trinamoole Nabojowar) কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে ছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। রোড-শো শেষে তাঁর কনভয় যখন শালবনির (Shalbani) দিকে এগোচ্ছে, সেই সময় রাস্তার দু’পাশে কুড়মিরা স্লোগান তুলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংসদের কনভয়ের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। অভিষেকের কনভয়ের শেষ গাড়িতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birgbaha Hansda)। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়ির চালক আহত হয়েছেন এবং তিনিও আহত হন বলে নিজেই জানান মন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ ইতিমধ্যেই স্বতপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।

বিক্ষোভকারীদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনেছেন বলে রাতেই জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন, যাঁরা এই কান্ড ঘটিয়েছেন তাঁদের স্পষ্ট বিবৃতি দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান রাস্তার দুধার থেকে বোতল ছোড়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মনে করা হচ্ছে বিশেষ রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। শনিবার সকালের খবর, এখনও পর্যন্ত অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলা, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার রাতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন জনজাতিদের স্বীকৃতির দাবিতেই যদি আন্দোলন হবে তাহলে বীরবাহার মতো জনজাতি নেত্রীর গাড়িতে হামলা হল কেন? তাহলে কি এর মধ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে? কুড়মি আন্দোলনের মূল অংশ অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যোগ অস্বীকার করেছে।শুক্রবার শালবনীর ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানার আইসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হন ।