বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা! বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

0
3

বিদ্যুৎ সরবরাহ (Electric Distribution) ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের (Govt of West Bengal)। আর সেকারণেই প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই টাকা বিদ্যুৎ উত্পাদন বাড়ানো, পরিবহন সংক্রান্ত ক্ষতি কমানো, স্মার্ট মিটার বসানো ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধনের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Bishwas) জানিয়েছেন, রাজ্যে বর্তমানে সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও ৪,১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি সচল রাখার জন্য যে পরিমাণ কয়লা প্রয়োজন ছিল, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের হাতে থাকা নিজস্ব কয়লা খনিগুলি থেকে তার ৭০ শতাংশ এসেছে। পাশাপাশি গত আর্থিক বছরে যে পরিমাণ কয়লা উৎপাদিত হয়েছে ওই খনিগুলি থেকে, তা মোট চাহিদার ৭৫ শতাংশ জোগান দিতে সক্ষম। তবে দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কয়লা জোগানে রাজ্য সম্পূর্ণভাবে আত্মনির্ভর হতে পারবে বলেও দাবি বিদ্যুৎ মন্ত্রীর।

 

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদ যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেখানেই বিদ্যুতের পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত ক্ষতি কমানো, স্মার্ট মিটার বসানো ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধনে ১১,৮৯৫ কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবারের সভা থেকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দেশের অনান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থা যে এগিয়ে আছে সেই তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করতে হয়। কিন্তু তারপরও বিদ্যুৎ বিপর্যয় এড়ানো যাচ্ছে না। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটও। কিন্তু এরাজ্যে সেই সমস্যা নেই।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেদিন সাড়ে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মন্ত্রী সাফ জানান, দুর্গাপুরে ডিপিএলের হাত ধরে ‘হাইড্রোজেন প্লান্টের পাইলট’ প্রজেক্ট চালু হতে চলেছে।