শুক্রবার সন্ধ্যায় জনসংযোগ যাত্রায় ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় লক্ষ্য করে হামলা, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার দায় অস্বীকার কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির।
কুড়মি বিক্ষোভের মুখে অভিষেক। মন্ত্রীর গাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর।সেই ঘটনায় দায় এড়াল পুরোপুরি দায়ভার অস্বীকার করলেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের। তাঁরা এই ঘটনার জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতার পাশাপাশি
ষড়যন্ত্র-এর অভিযোগ তুলেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল এমন বর্বরোচিত ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মি সমাজ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। তারা জানাক, এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত আছে কি নেই। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত নয়। এর আগে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাঁকুড়া-পুরুলিয়াতে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, কিন্তু ঝাড়গ্রামে কুড়মিদের ছদ্মবেশে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে কারা গুন্ডামি করেছেন, সেটা ধরতে পেরেছেন অভিষেক।
ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠক করেন। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বের স্পষ্ট বক্তব্য, ”মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা হয়। আমরা তার নিন্দা করছি। আমাদের ঘাঘর ঘেরা কমিটির নাম উঠে আসছে। কিন্তু আমরা এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নই । আমার নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি।”
তাঁদের আরও সংযোজন, “‘জেলা পুলিশের তরফ থেকে বার বার অনুরোধ করা হয়। আমরা আশস্ত করেছিলাম। ঘাঘর ঘেরার কেউ সেখানে নেই। তারপর অন্ধকারে কারা কী ঘটিয়েছে তার দায় ঘাঘর ঘেরা কমিটির নয়। ঘাঘর ঘেরা কমিটির কেউ যুক্ত নয়। পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। কেন কোনও লাইটের ব্যবস্থা করা হল না? সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হল না? আমরা মনে করছি, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। বাঁকুড়াতেও একই ঘটনার চেষ্টা চলে। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে আমরা তাদের শাস্তি চাইব। বরং এই যড়যন্ত্রের পিছনে বিরোধী দলও থাকতে কেউ-ই থাকতে পারে। কারণ আমরা প্রথম থেকে বলেছিলাম, কোনও রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের জন্য আমরা দেওয়াল ব্যবহার করতে দেব না।”