পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি প্রাকৃতিক পর্যটনস্থলকে ‘বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট’-এর তকমা

0
1

প্রাচীন মন্দির, রাজবাড়ি, দরগার বাইরে এবার হেরিটেজ (Heritage) তকমা পেল দুটি পর্যটনস্থল। তাও দুটিই আবার পূর্ব মেদিনীপুরে। একটি কাঁথি ১ ব্লকের বগুরান-জলপাই সমুদ্র সৈকত এবং অন্যটি মহিষাদল ব্লকের হলদি নদীর বুকে হলদি দ্বীপ। ‘বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট’ (Biodiversity Heritage Site) তকমা দেওয়া হয় এই দুটি জায়গাকে। ওয়েস্টবেঙ্গল (West Bengal) বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ সায়েন্সসিটি অডিটোরিয়ামে সরকারিভাবে এই ঘোষণা করেন।

চেনা গণ্ডির বাইরে গিয়ে এবার প্রাকৃতিক পর্যটনস্থল পেল হেরিটেজ তকমা। কাঁথির বঙ্গোপসাগরের সৈকত বগুরান-জলপাই। বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকতে লাল কাঁকড়ার সাম্রাজ্য। ৭.৩ কিলোমিটার সৈকতের পাশে ঝাউ বন, ম্যা নগ্রোভ বন। বালুতটে লাল কাঁকড়া, ডোলিলা কাঁকড়া, ফেডলার কাঁকড়ার রয়েছে বংশ পরম্পরা। ম্যা নগ্রোভ বনেও রয়েছে বহু বন্যাপ্রাণের আনাগোনা। তবে, সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। দেখে মনে হবে, বালির উপর কেই লাল রঙের আলপনা এঁকে দিয়েছে।

মহিষাদল ব্লকের পাশ দিয়ে বসে চলা হলদির বুকে জেগে ওঠেছে হলদি দ্বীপ। মাত্র ৩০ বছর আগে প্রায় ৬০ একর বিশিষ্ট দ্বীপ জেগে ওঠে। এই দ্বীপে কেওড়া, গেঁওয়া, কাকড়া, করঞ্জা বিভিন্ন গাছের বাদাবন তৈরি হয়েছে। এই গাছগাছালির মধ্যে কাঠবিড়ালি, শেয়ালের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বক। মহিষাদল ব্লকের বন ও ভূমি দফতর এবং প্রাশাসনিক কর্তারা বৈঠকে করে দ্বীপটিকে ‘বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে চিহ্নিত করার আবেদন রাখে। রাজ্যর বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ এবং আধিকারিক অনির্বাণ রায় বগুরান-জালপাই এবং হলদি দ্বীপের পরিবেশ ঘুরে দেখেন। এই দুটি জায়গার পাশাপাশি, রাজ্যে প্রকৃতির কোলে থাকা আরও ৮টি জায়গাকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- পরিবেশ বান্ধব সবুজ বা.জির উৎপাদনে জোর! শীঘ্রই বিশেষ পোর্টাল চালুর ভাবনা রাজ্যের