রাজ্যের পড়ুয়াদের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার ব্য়পারে আরও উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করতে চায় রাজ্য। এজন্য প্রত্যেক জেলাশাসককে জেলার আইএএস, আইপিএস, আইএফওএস, ডব্লিউবিসিএস এবং ডব্লিউবিপিএস আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দলের সদস্যরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে সিভিল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান গুলিকে চিহ্নিত করবেন। যেখানে পড়ুয়াদের কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং উত্সাহ দেওয়া সম্ভব। ন্যূনতম ১৫ জন আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠন করে ২৭ তারিখের মধ্যে সেই তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের সভাপতি সুরজিত কর পুরকায়স্থ বলেন, তরুন প্রজন্মকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ও উৎসাহ বাড়াতে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ বিভিন্ন রাজ্যের শহর ও মফস্বলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলাস্তরে দল গঠন করা হলে আরও প্রত্যন্ত এলাকাতেও এনিয়ে সচেতনতা প্রচার করা যাবে।
রাজ্য সরকারের এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এসএনটিসিএসএসসি থেকে ৭ জন ২০২২ সালের ইউপিএসসি আয়োজিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছেন শিলিগুড়ির চৈতন্য খেমানী। তাঁর সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক ১৫৮। পাশাপাশি কলকাতা থেকে ঈশান সিনহা, ঋষভ সিং, ডক্টর আকাঙ্খা ঝা, মোহাম্মদ বুরহান জামান, প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল ও সৌরভ দাস তালিকায় রয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেছিলেন। ট্যুইট করে আগামী দিনে যুবদের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় আরও এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার আবেদনকারীদের সহায়তার জন্য বিনা পয়সায় কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেই ২০১৬ সাল থেকে। জঙ্গলমহল এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে কোচিং ক্লাস শুরু করে জেলা প্রশাসন। তবে থেকেই চলছে এই ব্যবস্থা। এরকম ফ্রি কোচিং থেকে লাভবান হয়েছেন বহু মেধাবী পড়ুয়া।
আরও পড়ুন- সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রিসভায় আরও ২৪ বিধায়ক! কর্ণাটকে পালাবদল হতেই ‘গেরুয়া প্রীতি’ কুমারস্বামীর