মুশকিল আসান: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্টের অপারেশন করে সুস্থ তনুশ্রী

0
1

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। যেখানে রাজ্য সরকার রাজ্যের মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, রাজ্য সরকার এরাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী কর্মসূচি সহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।এখন সাধারণ মানুষ নিজের চোখে সবকিছু দেখে এর সুফল বুঝতে পারছেন। এই মেডিকেল কার্ড থাকলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা যায়।এমনকী, বেশ কিছু ব্যয়বহুল অপারেশন এবং পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই কার্ড দিয়ে হয়। তাই ধর্ম-বর্ণ-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার করছেন।

এমনই এক উপভোক্তার অভিজ্ঞতা তৃণমূলের নব জোয়ার টুইটার পেজ থেকে বৃহস্পতিবার শেয়ার করা হয়েছে।টুইট করা ভিডিওতে বছর ৪০-এর এক মহিলা এবং তার পরিজনরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কীভাবে জীবন ফিরে পেয়েছেন তা বলেছেন।

বেশ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন তনুশ্রী সিনহা বাবু নামে ওই মহিলা। কিছুতেই ধরা পড়ছিল না কি হয়েছে মহিলার। আসলে হার্টের অসুখে ভুগছিলেন তিনি।এরপর যখন চিকিৎসকরা ইকো পরীক্ষা করেন, তখনই ধরা পড়ে যে তার হার্টে একটি ছিদ্র আছে। রোগ ধরা পড়লেও সেই চিকিৎসা করানোর অর্থ ছিল না দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারের। শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে মুশকিল আসান হয়ে দেখা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। ভদ্রমহিলার বয়স ৪০ বছর হলেও, চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন ইঞ্জেকশন দিয়ে কিছুটা হয়তো সুরাহা হবে। কিন্তু কিছুদিন পর ফের ইকো করে দেখা যায় তার হার্টের সেই ছিদ্র ক্রমে বড় হচ্ছে এবং একটা নয় দুটো ছিদ্র আছে।

তনুশ্রী বোন সোনালী গোস্বামী বলেন, ততদিনে কোভিড শুরু হয়ে গেছে এবং চিকিৎসকরা জানালেন সহজে এ রোগ সারবার নয়। এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকার। বেজায় চিন্তায় পড়ে গেলেন সবাই। বেঘোরে প্রাণ যাওয়ার উপক্রম বছর চল্লিশের ওই মহিলার। চিকিৎসকরা সাড়ে চার লক্ষ টাকার বাজেট দেন।তিনি জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা দেওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতর থেকে মাত্র দুদিনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সেই টাকা ছাড়পত্র পায়।অপারেশনের পর বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে আইসিসিইউতে রোগীকে থাকতে হয়। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অনেকটাই সুস্থ ওই মহিলা।খোদ তনুশ্রী এবং তার পরিজনরা এই জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।