তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রায় বাঁকুড়ার সিমলাপাল থেকে খাতড়া যাওয়ার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয় থামিয়ে দুটি কুড়মি আন্দোলনকারীদের অভাব-অভিযোগের কথা আন্তরিকতার সঙ্গে শোনেন। প্রথমে বনকাটায় এবং দ্বিতীয়বার জামদায় কুড়মি আন্দোলনকারীদের কথা খুব ধৈর্যর সঙ্গে শোনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর মধ্যে জামদায় তো অভিষেক নিজে গাড়ি থেকে নেমে কুড়মি আন্দোলনাকরীদের কাছে গিয়ে কথা শোনেন। দুই কুড়মি নেতার সঙ্গে তাঁর বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। অভিষেক তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, কুড়মিদের সমস্যার বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি অভিষেক জানান, রাস্তা আটকে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।

প্রসঙ্গত, তপসিলি উপজাতি হিসেবে ঘোষণার দাবিতে
জঙ্গলমহলে রাস্তা আটকে, ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল কুড়মিরা। বিষয়টি নিয়ে কুড়মিদের এক প্রতিনিধি দল সম্প্রতি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন। সেই বৈঠক ইতিবাচক হয়। এদিন অভিষেককে সামনে পেয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, স্টেটাস জাস্টিফিকেশন রাজ্য সরকার আটেক রেখেছ। তা যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিষেক আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনাদের দাবি আপনারা লিখিতভাবে দিন। আমি দলীয়ভাবে কথা বলার চেষ্টা করব। আমি যোগাযোগ করে নেব। আপনাদের কথা বলার প্লাটফর্ম দেওয়া হবে। কিন্তু আপনারা সেই সৌজন্যটুকু বজায় রাখুন। যে চিঠি আপনারা দিয়েছেন তার একটা কপি আমাকে দেবেন।”

অন্যদিকে, এক কুড়মি নেতা অভিষেককে বলেন, গত ৭৩ বছরের বঞ্চনার অবসান হোক। রাজ্য সরকার ডেভলপমেন্ট বোর্ড গঠন করেছে, কালচারাল একাডেমি গঠন করেছে। কুড়মিদের ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। স্টেটাস জাস্টিফিকেশনের সমস্যাও এবার মেটানো হোক। রাজ্য সরকার যদি কমান্ড ও জাস্টিফিকেশন যদি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেয় তাহলে হয়তো সমস্যা মিতে যেতে পারে। এমন আর্জি শোনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কুড়মি নেতাকে বলেন, “আপনাদের নথি আমি আনিয়ে নেব। এনিয়ে সমাধান করতে গেলে বসে কথা বলতে হবে। রাস্তায় নেমে মানুষের অসুবিধে করে তা হবে না। আমি সরকারের কেউ নই। আমার সীমিত এক্তিয়ার থেকে আমি এনিয়ে দলীয়ভাবে সরকারের সঙ্গে কথা বলব। আরও ২৫ দিন রাস্তায় থাকব। তার পর কলকাতায় ফিরে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কথা বলব। তবে এই যে রেল অবরোধ হচ্ছে, তার জন্য অনেক মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এটা করবেন না।”
আরও পড়ুন- নতুন করে ATM কাস্কেট সাজাতে হবে: কেন্দ্রের খামখেয়ালিপনায় ক্ষুব্ধ ব্যাঙ্ক





































































































































