তথ্যচিত্রে মোদি-দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ! BBC-কে নোটিশ দিল্লি হাই কোর্টের  

0
3

ভারত, ভারতীয় বিচারব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ। আর সেকারণেই বিবিসির (BBC) বিরুদ্ধে সমন জারি করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। আর এই অভিযোগে ইতিমধ্যে তলব করা হয়েছে বিবিসি কর্তৃপক্ষকে। তবে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BBC UK) দফতরই নয়, বিবিসি ইন্ডিয়াকেও (BBC India) নোটিশ দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সচিন দত্ত। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রের (Documentary) বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছিল গুজরাটের (Gujrat) একটি এনজিও (NGO)। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই দিল্লি হাই কোর্টের এই নোটিশ বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।

এদিন মামলাকারী এনজিও-র তরফে সওয়াল করেন বিচারপতি হরিশ সালভে। তিনি সাফ জানান, বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র ভারত, ভারতীয় বিচারব্যবস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে। আর তারপরই এই মামলার শুনানিতে বিবিসির বিরুদ্ধে নোটিশ জারির নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসে বিবিসি। নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সংস্থাটিকে। পরে তথ্যচিত্রটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এরপর বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বই অফিসে পৌঁছয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

যদিও সংস্থায় হানা দিয়ে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমের অফিস কর্মীদের বেশ কিছু ল্যাপটপ ও হার্ড ডিস্ক স্ক্যান করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায় সারা দেশে। আর কেন্দ্রের মোদি সরকারের এমন তুঘলকি আচরণের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করার কারণেই এমন পদক্ষেপ বলে দাবি বিরোধীদের।

তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তথ্যচিত্রটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি, করা হয়েছে বলেই মত জয়শংকরের। প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করতেই এমন তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।