মিগ-২১ এবং মিগ ২৯ ক্যাটাগরির সমস্ত বিমানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা। সেই কারণে আপাতত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও মিগকে ব্যবহার করবে না বায়ু সেনা। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই প্রশিক্ষণের জন্য ফিরিয়ে আনা হবে মিগ সিরিজকে।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের সুরাটগড় বিমান ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণের জন্য ওড়া মিগ-২১ হনুমানগড় এলাকায় ভেঙে পড়ে। পাইলট প্যারাসু্টের সাহায্যে বাঁচলেও মারা যান তিনজন সাধারণ নাগরিক। এরপরেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে মিগ সিরিজকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
মিগ সিরিজকে ধাপে ধাপে ভারতীয় যুদ্ধ বিমানের সম্ভার থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। এবার সেটাও নিষিদ্ধ হয়েছে । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিরিজ তার কার্যক্ষমতা হারিয়েছে । ভারতের ঝুলিতে এখন অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান রয়েছে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিগকে নিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে। তাই সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাঠাচ্ছে বায়ুসেনা।
ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এই যুদ্ধ বিমানকে যুক্ত করা হয়েছিল ১৯৬০ সালে। দু বছর পর চিনের সঙ্গে যুদ্ধে ওই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে ১৯৬৫ ও ১৯৭১ এবং ১৯৯৮-এ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধেও ভারতীয় সেনার মুখ রক্ষা করে ওই বিমান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক আধুনিক যুদ্ধ বিমান তৈরি হয়েছে যার অনেকগুলি এখন ভারতের হাতে আছে।