জাতিসংঘ বলছে আগামী পাঁচ বছর রেকর্ড গরম পড়তে পারে।সম্প্রতি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ কথা বলেছে। সংস্থার তথ্য বলছে, ‘তাপ আটকে রাখা গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া এল নিনো ঘটনা’ কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আগামী পাঁচ বছরে রেকর্ড মাত্রায় বাড়তে পারে। ডব্লিউএমও বলেছে, ৯৮ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে ২০২৩-২০২৭ সালের মধ্যে কমপক্ষে এক বছর এবং পুরো সময়টি ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বার্ষিক গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় উষ্ণ হবে।
জাতিসংঘ আরও বলেছে, ৬৮ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে, সেই বছরগুলোর অন্তত একটিতে বার্ষিক গড় প্রাক-শিল্প স্তরের ওপরে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে।ডব্লিউএমও-র মহাসচিব অধ্যাপক পেটেরি তালাস বলেন, ‘এর অর্থ এই নয় যে, আমরা স্থায়ীভাবে প্যারিস চুক্তিতে নির্দিষ্ট ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্তর অতিক্রম করব। এটি বহু বছর ধরে দীর্ঘমেয়াদী উষ্ণায়নকে বোঝায়।” তবে ডব্লিউএমও সতর্ক করেছে যে, আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা পেরিয়ে যাব।
ডব্লিউএমও-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছর বৈশ্বিক গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের গড় তাপমাত্রা থেকে প্রায় ১ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
এই পাঁচ বছরের মধ্যে কোন একটি বছর গরমের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত যে বিশ্ব উষ্ণায়ন হয়েছিল সেই গড় তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা কমপক্ষে ২ ডিগ্রি কমাতে হবে। কিন্তু তাপমাত্রা কমা তো দূরের কথা, ২০২২ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একটি এল নিনো তৈরি হতে চলেছে বলেও জাতিসংঘের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। এই এল নিনোর পাশাপাশি মানুষের তৈরি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও রয়েছে। এই দুই জোড়া ফলাতেই বিশ্বের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় আরও বাড়বে।