ধর্মের নামে হিংসা ছড়ানো হলে, তা সে যে ধর্মই হোক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজের কার্যকালের শেষ দিনে এমনটাই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) বিচারপতি কে এম জোসেফ(K M Joseph)। ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে বুধবার এমনটাই জানালেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ জুন অবসর নিচ্ছেন এই বিচারপতি।
ঘৃণাভাষণ(Hate Speech) আটকাতে সুপ্রিম নির্দেশিকা জারি করার আবেদন জানিয়ে এক মামলার শুনানিতে প্রবীণ বিচারপতি জোসেফ বলেন, “দেশের স্বার্থ ছাড়া অন্য কোনও স্বার্থের কথা ভাবাই উচিত নয়। ধর্ম বা অন্যান্য কোনও বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে যদি ধর্মীয় হিংসার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলেই আর সমস্যা থাকবে না। এইভাবেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।” দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় হিংসা ও ঘৃণাভাষণের ঘটনায় একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শীর্ষ আদালতের এই বিচারপতি। কার্যকালের শেষ দিনেও একই অবস্থানে অনড় থাকলেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিজে খ্রিস্টান হলেও হিন্দু ধর্ম পছন্দ করেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। হিন্দুধর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বিচারপতি জোসেফ বলেন, “আমি খ্রিস্টান হলেও হিন্দুধর্ম খুব পছন্দ করি। মহান হিন্দু ধর্মকে খাটো করে দেখানো উচিত নয়। উপনিষদ, বেদ, ভগবদ গীতায় যেভাবে হিন্দুধর্মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও সমাজের পক্ষেই সেই উচ্চতায় ওঠা সম্ভব নয়। এই ধর্মকে নিয়ে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। কেউ যেন এই ধর্মের আদর্শকে ছোট না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।”