আইনমন্ত্রীর পদ হারালেন কিরেন রিজিজু!কর্নাটকের হারেই কী চাপের মুখে সিদ্ধান্ত মোদির

0
1

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব কমল কিরেন রিজিজুরের। আচমকাই আইনমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বদলে অরুণাচলের ওই বিজেপি নেতাকে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল।কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার?

আরও পড়ুন:আঙ্কেল জজ সিন্ড্রোম: শীর্ষ আদালতকে আক্রমণ! কলেজিয়াম নিয়ে ফের বি.স্ফোরক রিজিজু
সম্প্রতি বিচারপতি নিয়োগে ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থার স্বচ্ছতা’ থেকে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি সংক্রান্ত মামলায় ‘সুপ্রিম কোর্টের অধিকার’- নানা অছিলায় বিচার বিভাগের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার শিকারও হয়েছিলেন!এমন নয় যে তা কিরেনের একার সিদ্ধান্ত ছিল। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল বর্তমান শাসকদলই। কিন্তু কিরেন হয়ে উঠেছিল তার মুখ। অনেকের মতে, সেই সংঘাতের পর কেন্দ্রের সরকার নিয়েও কঠোর অবস্থান নিয়ে চলছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক কিছু পর্যবেক্ষণ ও রায়ে তাঁর প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। এমনকি দু’দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পষ্টাপষ্টি জানিয়েছেন, যেন ভয়ের বাতাবরণ তৈরি না করে ইডি।
অনেকের মতে, কিরেন রিজিজুকে আইন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে সম্ভবত বার্তা দিতে চাইল মোদী সরকার। সেই পদে আনা হল রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়ালকে।বর্তমানে অর্জুন মেঘলওয়াল হলেন সংসদ বিষয়ক ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তাঁকে আইন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
কিরেন রিজিজু অরুনাচল প্রদেশের সাংসদ। কথাবার্তায় ক্ষুরধার। সেই সঙ্গে উদ্যমীও।২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর কিরেন ক্রমশই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকটাই কাছে আসেন। ২০১৯ সালে মোদি জমানা শুরুর পরই কিরেনকে প্রথমে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।মোদি-শাহের কাছে নম্বর বাড়িয়ে তাঁদের আস্থা অর্জন করেন কিরেন। ফলসরূপ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। যে পদের পরিধি আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হলেও অনেকটাই বড়। বিচারব্যবস্থার সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলতে হয় মন্ত্রীকে। রাখতে হয় সুসম্পর্কও। কিন্তু মোদি-শাহের কাছে নম্বর বাড়াতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কিরেন। এমনকি সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষমতা নিয়ে তাঁর কিছু মন্তব্যে দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল।
তবে,কিরেনের গুরুত্ব হঠাৎ এতটা কমতে দেখে রাজনৈতিকমহল মনে করছেন, কর্নাটক নির্বাচনে পোস্টার-ব্যানার-রোড শো করেও ‘গোহারা’ হারের পর চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আর কোনওরকম সংঘাতের জায়গা রাখতে চায় না তারা। তাই এই পরিবর্তন।