ডাক্তারি পড়ার পথে বাধা অর্থ! পড়ুয়াকে সাহায্য করতে বড় উদ্যোগ জেলাশাসক সহ আধিকারিকদের

0
1

তবে ডাক্তারি (Medical) পড়ার ইচ্ছে থাকলেও টাকা (Money) ছিল না তাঁর কাছে। পরে জেলাশাসক (District Magistrate) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে চিঠি (Letter) দেন। আর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই এগিয়ে আসেন খোদ জেলাশাসক এবং জেলা প্রশাসনের দুশোরও বেশি আধিকারিক। আর সকলের সাহায্য নিয়েই ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছেন আলিয়াবানু। জানা গিয়েছে, ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে ক্লাস টুয়েলভ পাশ করে গুজরাটের (Gujrat) এই পড়ুয়া। এরপরই বরোদার পারুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস কোর্সে (MBBS) জন্য ভর্তি হন তিনি। প্রথমে ধার দেনা করে প্রথম সেমেস্টারের টাকা মেটালেও দ্বিতীয় সেমেস্টারের আগে ৪ লক্ষ টাকা জোগাড় করতেই হত ওই পড়ুয়াকে। কিন্তু এমন কথা শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে আলিয়াবানুর। কীভাবে এত টাকা একসঙ্গে জোগাড় হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পড়ুয়া।

পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, আলিয়ার বাবা আয়ুব দৃষ্টিহীন। তাঁর এবং পরিবার পরিজনের পক্ষে এতটাকা জোগাড় করা রীতিমতো অসম্ভব। এরপরই কোনও উপায় না পেয়ে আলিয়া প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছিলেন। কারণ হিসাবে আলিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী এক বছর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর সেই সূত্র ধরেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দ্বারস্থ হন তিনি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় বৃদ্ধ পেনশন যোজনার আওতায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন আয়ুব।

এদিকে চিঠি পেয়েই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) এবং ভারুচের জেলাশাসক আলিয়াকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি নিজের বেতন থেকে এক দিনের টাকা তুলে দেন আলিয়ার হাতে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের দুশোরও বেশি আধিকারিক তাঁদের বেতনের টাকা দিয়েছেন আলিয়াকে।