ভাতার দেখল জনদরদী তরুণ নেতাকে,‌ বৃদ্ধ ডায়ালিসিস রোগীকে নিজের উদ্যোগে বাড়ি ফেরালেন অভিষেক

0
2

জনসংযোগ যাত্রার ২১তম দিনে ভাতারে প্রবল দুর্যোগের মাঝেও উপস্থিত জনতা দেখল তাদের প্রিয় অভিষেকের জনদরদী রূপ। সোমবার অভিষেকের সভায় দুর্যোগ উপেক্ষা করেই আবালবৃদ্ধবনিতার জনপ্লাবন দেখে রীতিমতো মুগ্ধ অভিষেকও।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে রোড শো করছেন, তখনই কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। বৃষ্টি আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। দু’-এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু তাঁকে দেখতে তখন রাস্তার দু’পাশে মানুষের ঢল নেমেছে। তিনি নিরাশ করেননি তাঁদের। তাই গাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূল সাংসদ। ফুল ছুড়ে দিলেন জনতার উদ্দেশে।
আর সেই সময়েই পূর্ব বর্ধমানের এক নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দ্বিজপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর একাত্তরের ওই বৃদ্ধ ডায়ালিসিসের রোগী। মুমূর্ষু ওই রোগী ডায়ালিসিস করিয়ে ছেলের সঙ্গে বাইকে চেপে মঙ্গলকোটের সিঙ্গট গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ভাতার সড়কে মাঝপথে আটকে পড়েন তাঁরা। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানতে পেরে অভিষেক নিজে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত করেন।

সোমবার বিকেলে প্রবল ঝড়ে ভাতার বাজার ও ভুমশোর গ্রামের মাঝামাঝি আটকে যায় তাঁর কনভয়। দীর্ঘ ক্ষণ অভিষেককে অপেক্ষা করতে হয় মাঝরাস্তায়। তখনই তাঁর চোখে পড়ে ঝড়বৃষ্টিতে আটকে পড়েছেন বছর সত্তরের এক প্রবীণ। অভিষেক শোনামাত্রই নিজের উদ্যোগে বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করেন, বৃদ্ধ রোগীকে যেন গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর পর পুলিশ কনভয় সরিয়ে একটি গাড়িতে চাপিয়ে ওই বৃদ্ধকে মঙ্গলকোটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। অভিষেকের এ হেন ব্যবহারে মুগ্ধ ওই বৃদ্ধ এবং তাঁর ছেলে। দু’জনই ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেককে।