ফের যোগীরাজ্যে (Yogi Adityanath) পুলিশের এনকাউন্টার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে (Atiq Ahmed) এনকাউন্টারের (Encounter) অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ। আর সেই আবহের মধ্যেই ফের এনকাউন্টারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়সড় প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, পুলিশ কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর তাদের আটক করতে গিয়েই চলে গুলির লড়াই। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই অভিযুক্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, নিহত দুই অভিযুক্তের নাম উমেশ ওরফে কালু ও রমেশ। দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ ছিল।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে এনকাউন্টারে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে উত্তরপ্রদেশে। আর যার জেরে বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী সরকার। জানা গিয়েছে গত ১০ মে ঘটনার সূত্রপাত। ওই দিন রাতের অন্ধকারে বাইকে চেপে পালাচ্ছিল অভিযুক্তরা। সেকথা জানতে পেরেই দুই অভিযুক্তকে আটকাতে তাদের পিছনে বাইক নিয়ে ধাওয়া করেন ভেদজিৎ সিং নামে এক পুলিশ কর্মী। আর সেই সময়েই গুলি চালিয়ে পুলিশ কর্মীকে খুন করে চম্পট দেয় দুই অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল ছেড়ে সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় তারা। তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিল কালু ও উমেশ। তবে এরপর দুই অভিযুক্তের সন্ধানে তৎপর হয় পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরে তল্লাশি চালানোর পরে রবিবার তাদের সন্ধান মেলে। এরপরই দুই অভিযুক্তকে ধরতে বিশাল বাহিনী নিয়ে অভিযান শুরু হয়। তবে পালাতে গিয়ে আটকে পড়ে তারা। পুলিশের দাবি, আত্মসমর্পণ না করে অভিযুক্তরা পালটা গুলি চালাতে শুরু করে। এরপরই বাধ্য হয়ে পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ। গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হয় কালু ও রমেশ। পাশাপাশি এক পুলিশ কর্মীর হাতে গুলি লাগে বলে অভিযোগ।
এরপরই গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই অভিযুক্তকে। সেখানেই তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মীও। তাঁদেরও চিকিৎসা চলছে। রবিবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল ডিজি জানান, পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে পুলিশকর্মী খুনে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির।