ছুঁড়ে ফেলেছে মানুষ, বাংলার মতো কর্ণাটকেও করুণ দশা বিজেপির দলবদলুদের

0
1

একেবারে বাংলার প্রতিচ্ছবি দক্ষিণের কর্ণাটকে। বিজেপির দলবদলুর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে জনতা জনার্ধন! একঝাঁক বেইমান-গাদ্দার কংগ্রেস ও অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে ছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গী হয়েছে পরাজয়। রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারাতে চলেছেন সেই প্রাক্তন বিধায়করা। ২০২১ সালে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে। তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে গো-হারা হারতে হয়েছিল অনেক বেইমান-গদ্দারকে। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা ডেইলি পাসেঞ্জার হয়েও তাঁদের জেতাতে পারেননি। বাংলার বুকে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির।

আরও পড়ুন:“বেশি বাড়াবাড়ি করলে কাপড় খুলে নেব”! হুঁশিয়ারি দিলীপের, পালটা দিলেন কুড়মিরাও

কন্নড়ভূমে ২০১৯ সালে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে “অপারেশন লোটাস”-এ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ১৪ জন বিধায়ক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল জেডিএস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনজন। অর্থাৎ মোট ১৭ জন দলবদলু গেরুয়া মোহে পা দিয়ে পিছলে পড়েছেন। তাদের জন্যই পতন হয়েছিল কং-জেডিএস সরকারের। ঘুরপথে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। এবার ভোটে ওই দলবদলু বিধায়কদের মধ্যে টিকিট পেয়েছিলেন ১০ জন। বিজেপি দিয়েছিল ৯ জনকে। এনসিপি একজনকে। সকলেই গো-হারা। যাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর, মহেশ কুমাথাল্লি।
এরা সকলেই কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরেছেন।

এমন ঘটনায় এবার মধ্যপ্রদেশের আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪। কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রি হয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার ফাঁদে পড়ে কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়ক দল বদল করে। পতন হয় কমলনাথ সরকারের। ঘুরপথে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। এবার ভোটে বুমেরাং হবে না তো? কর্ণাটকের ফলাফলে ঘুম ছুটেছে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির।