৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ফের আদালতে চাকরিহারারা

0
1

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অতীতে নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।‘ সেই অনুযায়ী শুক্রবার তার নজিরবিহীন নির্দেশ। এই প্রথমবার এতজনের চাকরি একলপ্তে বাতিল করল আদালত। ২০১৬ সালে নিযুক্ত সাড়ে ৪২ হাজার শিক্ষকের মধ্যে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজারের চাকরি। পদে থাকলেন মাত্র সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক।

৩৬ হাজার নিয়োগপ্রাপ্তের চাকরি বাতিল করলেও এখনই তাদের স্কুলছাড়া হতে হচ্ছে না। আগামী চারমাস তারা স্কুলে যেতে পারবেন। কিন্তু পূর্ণ সময়ের শিক্ষক হিসাবে নয়, তারা পার্শ্বশিক্ষকের মতো বেতন পাবেন।
আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্য, ‘হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করা হবে। ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শ নেয়া শুরু হয়েছে। চাকরিরত ৩৬ হাজার শিক্ষকরা আর অপ্রশিক্ষিত নেই। এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী দূরশিক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।‘
কিন্তু এই ৩৬০০০ চাকরি বাতিলের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় মামলাকারীরা। তাদের যুক্তি অনুযায়ী, হাইকোর্টের রায় মেনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা চাকরিতে বহাল থাকলে চাকরি বাতিল সংখা কমবে ৮৫৮৫। মোট চাকরি বাতিল হবে ২৭৪১৫।

মামলাকারীদের যুক্তি, টাইপোগ্রাফিকাল ত্রুটির কারণে বিভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, প্রাথমিকে ৪২৬২৮ সর্বমোট শিক্ষক নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। বিভিন্ন কারণে শূন্যপদ পড়ে থাকে ৩২১।

২০১৬ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বমোট প্রশিক্ষণহীন নিযুক্ত হয়  ৩০১৮৫। প্যারাটিচার কোটায় চাকরি পায় ৪২৫০। পার্শ্ব শিক্ষকদের সংরক্ষণ মেনে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে যোগ দেন ৪০০৯।

২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ট্রেনড প্যারাটিচার ছিলেন ২৭৭০। কাজেই ২৭৪১৫ চাকরি বাতিল হবে নির্দেশ মেনে। যদিও রায়ে বলা হয়েছে, ৩৬০০০ কম বা বেশি চাকরি বাতিল। সেক্ষেত্রে ফের আদালতে যাবেন মামলাকারীরা!