কে হতে চলেছেন কর্নাটকের হবু মুখ্যমন্ত্রীর! কংগ্রেসের গুডবুকে ২ নাম

0
2

বিজেপিকে ধুলোয় মিশিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতা এসেছে কংগ্রেস। শেষ পাওয়া খবরে ১৩৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে হাত শিবির। এহেন পরিস্থিতিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কাটাছেঁড়া। তালিকায় রয়েছে দুই নাম। প্রথমেই কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং দ্বিতীয় জন কর্ণাটকের বর্তমান প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে সবচেয়ে আগে রয়েছেন সিদ্ধারামাইয়া। কারণ বরিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা আগেই ঘোষণা করেছিলেন এটা তাঁর শেষ নির্বাচন। এরপর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মুখমন্ত্রীর আসন তার হাতেই সঁপে দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে সিদ্ধারামাইয়া বলেন, ”কংগ্রেস এখনো মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম ঘোষণা করেনি তবে হ্যাঁ আমিও একজন পদপ্রার্থী।” তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার। সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসকে এই বিপুল সাফল্যে পৌঁছে দেওয়ায় নেতৃত্বের সুনজরে রয়েছে এই নেতা। সিদ্ধারামাইয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তার নামও বিবেচনা করতে শুরু করেছে হাই কমান্ড। শনিবার কংগ্রেসের বিপুল সাফল্যের পর রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায় শিবকুমারকে। তিনি বলেন, আমি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কথা দিয়েছিলাম কর্নাটক জিতে দেখাবো। হাই কমান্ডেরও অত্যন্ত পছন্দের নেতা এই শিবকুমার।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের রীতি এখানে নির্বাচনের আগে কখনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় না। দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জয়ী বিধায়কদের থেকে রায় নেওয়া হয়। তারপর হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেয় কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হবে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব সামলেছেন সিদ্ধারামাইয়া।

আরও পড়ুন- নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রথা বিলোপ, হলদিয়ায় ৪৪টি শ্রমিক-কমিটি ঘোষণা ঋতব্রতর