ভারত জোড়ো যাত্রায়(Bharat Jodo Yatra) রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) বার্তা ছিল ‘নফরত কে বাজার মে মহব্বত কি দুকান খোলনে আয়া হু’। দেশজুড়ে ভালবাসা ছড়ানোর পর হাতে নাতে প্রথম তার ফল পেলেন রাহুল। দক্ষিণের কর্নাটকে(Karnataka) বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে নিরঙ্কুশ জয় হাসিল করতে চলেছে কংগ্রেস(Congress)। জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বললেন, “ঘৃণার বাজার বন্ধ করে ভালবাসার দোকান খুলল কর্নাটক”।
দক্ষিণ থেকে বিজেপিকে মুছে ফেলার পর শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বলেন, “এটা কর্নাটকের মানুষের জয়। কর্নাটকে কংগ্রেস গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা সবার জয়। কর্নাটকের জয়। আমরা নির্বাচনে কর্নাটকের জনতার কাছে পাঁচটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সেটা পূরণ করব।” একইসঙ্গে তিনি জানান, “কর্নাটক মে নফরত কি বাজার বন্ধ হো চুকে হ্যায়, অর মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।” যার বাংলা তর্যমা করলে দাঁড়ায়, “কর্নাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। ভালবাসার দোকান খুলে গিয়েছে।”
এদিকে কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পুরো কৃতিত্ব রাহুল এবং ভারত জোড়ো যাত্রাকে দিতে চাইছে হাত শিবির। ভোট ঘোষণার ঠিক মাস ছয়েক আগে দক্ষিণের রাজ্যটিতে নিজের যাত্রা নিয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘পোস্টার বয়’। প্রায় ২২ দিন কর্নাটকের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন তিনি। এমনকি পরিসংখ্যান বলছে, রাহুল যে যে বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের প্রচার করেছেন, সেই কেন্দ্রগুলির ৭৫ শতাংশের বেশি আসনে জিতেছে কংগ্রেস।
পাশাপাশি কংগ্ৰেসকে ঐতিহাসিক সমর্থনের জন্য কর্নাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, এই জয়ে জনসাধারণের সমস্যার ইস্যুগুলি প্রাধান্য পেয়েছে। কর্নাটকের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জয় এটি। এই জয় ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাজনীতির জয় বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের পরিশ্রমী নেতা ও কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছে বলেছেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রম সেরা ফল দিয়েছে। রাজ্যের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কংগ্রেস অক্রান্ত পরিশ্রম করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শেষে তিনি বলেছেন, জয় কর্নাটক, জয় কংগ্রেস।