ভোট প্রচারে ব্যস্ত মোদি-শাহ! মণিপুরের অ.শান্তির সুযোগে তৎপর হয়ে উঠছে জ.ঙ্গিগোষ্ঠী, পুলিশের ওপর হা.মলা

0
2

শান্তি ফিরতে না ফিরতেই আবারও অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর। রাজ্যের অশান্তির সুযোগ নিয়ে তৎপর হয়ে উঠছে জঙ্গিরা।বুধ ও বৃহস্পতিবার পর পর দুদিন জঙ্গিরা হামলা চালায় পুলিশ কমান্ডদের ওপর। যার জেরে একজন নিহত হয়েছেন। অন্য এক কমান্ড গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জঙ্গি তৎপরতা এতটাই বেড়েছে যে খাদ্যসামগ্রীর গাড়ি আটকে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে তারা। এত কিছুর পরও কুলুপ মোদি-শাহের মুখে। নিরাপত্তা ফেরাতে কোনওরকম আলোচনাতেই বসেননি তাঁরা।

আরও পড়ুন:‘আমি টুইটারের জন্য নতুন এক জন সিইও নিয়োগ করেছি’ কে তিনি? গভীর রাতে জানালেন ইলন মাস্ক

আরও পড়ুন:ছাত্রীকে অপহ*রণ করে গণধ*র্ষণ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও ক্ষুব্ধ জনতার

পুলিশ জানিয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলায় কমান্ড নিহতের ঘটনা ঘটেছে। যদিও অশান্তির সূত্রপাত সেই চূড়াইচাঁদপুর জেলার সীমান্ত এলাকায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ সেখানে এরিয়া ডমিনেশন অর্থাৎ এলাকা কব্জা করার অভিযানে নামলে জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। একজন কমান্ড গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই এক কমান্ডের মৃত্যু হয়।
বুধবার রাজধানী ইম্ফল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের দোলাইথাবি এলাকায় অসম রাইফেলসের টহলদার জওয়ানদের উদ্দেশে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন কমান্ড।
এদিকে মণিপুরের অশান্তির ঘটনায় আধা সামরিকবাহিনী পাঠিয়েই খালাস। রাজ্যে নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও আলোচনায় করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে কার্যত বিস্মিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং শান্তি। তাঁরা যতই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর কথা বলুন না কেন, প্রশাসনিক মহল মনে করছে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে রাজনৈতিক স্তরে তৎপরতা শুরু করা জরুরি ছিল।
বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে মণিপুরের শিক্ষামন্ত্রী টি বসন্ত জানান, বিষ্ণুপুরে ১৮০টি মালবাহী ট্রাক স্থানীয় জনতা আটকে দেয়। তাতে ইন্ডিয়ান অয়েলের ২৫টি ট্যাংকার ছিল। বাকিগুলিতে ছিল খাদ্যসামগ্রী। পুলিশ জনতাকে সরিয়ে গাড়ির রাস্তা করে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। স্থানীয় মানুষ পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে দেয়।
পুলিশের অনুমান, অশান্তির সুযোগ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ মেয়াদে অশান্তি জিইয়ে রেখে দর কষাকষির রাস্তায় হাঁটতে চলেছে তারা। সেই কারণে নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ আটকে দিতে চাইছে।