ভোটের আগে সমর্থন চেয়ে মোদির খোলা চিঠি, বিধিভঙ্গের অভিযোগ কংগ্রেসের

0
1

চেনা অঙ্কে প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচনের প্রাক্কালে বিতর্ক জারি রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। বুধবার কর্নাটকের ২২৪ আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচন(Election)। তবে প্রচারসীমা শেষ হওয়ার পরেও সমর্থন চেয়ে কর্নাটকবাসীকে খোলা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই চিঠিকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক চরম আকার নিল। এই ঘটনায় মোদির বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস(Congress)।

নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে মঙ্গলবার কন্নড়বাসীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার কর্নাটককে(Karnataka) দেশের এক নম্বর রাজ্য করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি লেখেন, “আপনারা আমাকে সবসময় ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন। আমার কাছে তা ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো মনে হচ্ছে।” মোদির এহেন চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়। প্রচারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এইভাবে খোলা চিঠি দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন মোদি। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত এভাবে কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা ভোট প্রার্থনা করতে পারেন না। সাংবিধানিক পদে থেকে তো করাই যায় না। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস(Congress)। নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছে এবার কি নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে মোদির বিরুদ্ধে?

যদিও মোদির এহেন কাণ্ডে কোনও বিধিভঙ্গ হয়নি, এমনটাই জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ওই খোলা চিঠি লিখে কোনও নিয়ম ভাঙেননি। জনপ্রতিনিধি আইনের ১২৬ নম্বর ধারায় সাইলেন্স পিরিয়ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে কোনও বাধার উল্লেখ নেই। অর্থাৎ নির্বাচনের আওতায় নেই এমন কোনও জায়গা থেকে কেউ ভোটের প্রচার করলেও তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে না।