শহিদ মিনারে অবস্থান বি.ক্ষোভে ‘না’, হাই কোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল সেনাবাহিনী

0
4

বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবিতে শহিদ মিনারে (Shahid Minar) অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সেনাবাহিনীরর তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) নির্দেশ ছিল, সেনা চাইলে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনগুলি শহিদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারে। কিন্তু আদালত অনুমতি দিলেও শহিদ মিনারে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ক্ষেতমজুর সমিতির অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিল না সেনাবাহিনী। বুধবার ১০৪তম দিনে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেনাবাহিনী মনে করিয়ে দেয় আদালতের নির্দেশিত সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে আর অনুমতি না দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেন তাঁরা। পাশাপাশি এবিষয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল ফোর্ট উইলিয়াম (Fort William)। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনকে শহিদ মিনারে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র যে লাগবে সেকথাও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল। হাই কোর্টের তরফে সাফ জানানো হয় সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে। পাশাপাশি রাতে শুধুমাত্র ১৫ জন আন্দোলনকারীই থাকতে পারবেন অবস্থান মঞ্চে। এনরেগা (National Rural Employment Guarantee Act) প্রকল্পের অধীনে কর্মরত এই শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের স্থায়ীকরণেরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, পুলিশের কাছে অবস্থানের অনুমতি জানানো হলেও তা খারিজ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি সহ বাকি সংগঠনের কর্মীরা।

এরপরই ১২ দিন লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। কিন্তু যেহেতু ওই জমি সেনার। সেকারণে সেনাবাহিনী অনুমতি না দিলে কোনওমতেই অবস্থানে বসতে পারবেন না মামলাকারীরা। তবে এবার সেনাবাহিনীর তরফে অনুমতি না দেওয়ার ফলে, ক্ষেতমজুর সমিতির এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হল।