বীরভূমে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল(TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের(Sukanya Mandal) পাসে দাঁড়ালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। একইসঙ্গে গরুপাচার ইস্যুতে খোদ অমিত শাহ(Amit Shah) ও ৮০ হাজার গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য শাহ পুত্র জয় শাহর(Jay Shah) গ্রেফতারির দাবিতে সরব হলেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলার বকেয়া টাকা ফেরানোর দাবিতে দিল্লির বুকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের ‘যুবরাজ’।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে মঙ্গলবার বীরভূম পৌছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুরাইয়ে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর পুত্র জয় শাহকে নিশানায় নেন তৃণমূল সাংসদ। গরু পাচার মামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “বাবুরা গরু চোর ধরতে বেরিয়েছে। ইডি বলছে বিএসএফের প্রত্যক্ষ মদতে গরু পাচার হয়েছে। বিএসএফের দায়িত্বে রয়েছেন অমিত শাহ। যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে অমিত শাহকে গ্রেফতার করুক।” এরপরই অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল ওরা। আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না। আইন আইনের মতো চলবে। কিন্তু তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হল কারণ তাঁর ১৫০ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। তবে ৮০ হাজার গুন সম্পত্তি বেড়েছে অমিত শাহের ছেলের কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে না?” একইসঙ্গে অভিষেক যোগ করেন, “বিএসএফ গরু পাচার করে যে টাকা রোজগার করে সে টাকা কার কাছে যায়? শাহ না তাঁর ছেলের কাছে? কে প্রশ্ন করবে? সংবাদমাধ্যমের বুকের পাটা নেই। একমাত্র আমরা চোখে চোখ রেখে লড়াই করছি। আগামী দিনেও করব।”
একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আগামী দিন লড়াই আরও কঠিন। বিজেপি বাংলায় হারার পর জোর করে মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। ২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে। বীরভূমের ১৪ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা ১০০ দিনের কাজে টাকার উপর নির্ভরশীল। কংগ্রেস সিপিএম কেউ দিল্লিতে বলবে না ১০০ দিনের টাকা ফেরানো হোক। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার প্রাপকের বাড়ির প্রয়োজন। কিন্তু তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে ওরা। আমাদের প্রাপ্য টাকা ফেরাতে আন্দোলন হবে। যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। আমাদের প্রাপ্য টাকা আমরা দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব। এই কর্মসুচি শেষ হওয়ার পর দিল্লিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বসে আন্দোলন করে টাকা আদায় করে আনব এটাই আমাদের শপথ। আপনারা আগামী দিন দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। কোনও নেতার ক্ষমতা নেই আপনার টাকা জোর করে আটকে রাখবে। তৃণমূল যা বলে তা করে দেখায়। ক্ষমতা থাকলে যত শক্তি আছে প্রয়োগ করুক ওরা। গলা কেটে দিলেও আমাদের মুখ থেকে জয় বাংলা বেরবে, ভারত মাতার জয় বেরোবে।”