বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন,ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সোমবার বিকেলে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।বিকেল পৌনে ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। কালবেলা, কালপুরুষ, উত্তরাধিকারের মতো একাধিক বিখ্যাত উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। গত ২৫ এপ্রিল সিওপিডি-র সমস্যা নিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল সাহিত্য অকাডেমি পুরস্কার জয়ী সাহিত্যিককে।ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। ভর্তি ছিলেন আইসিইউতে। শ্বাসনালীতে গভীর সংক্রমণ ছিল সমরেশ মজুমদারের।গত এক যুগ ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে। এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।তিনি আজ কলকাতায় প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বাংলা সাহিত্যের লব্ধপ্রতিষ্ঠ কথাকার সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল: দৌড়, কালবেলা, কালপুরুষ, গর্ভধারিণী, উত্তরাধিকার, অর্জুন সমগ্র, সাতকাহন ইত্যাদি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে সমরেশ মজুমদারকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে।এছাড়া তিনি সাহিত্য অকাদেমি অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কারসহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।আমি সমরেশ মজুমদারের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’।




































































































































