নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ ছয়জনের ফের বাড়ল জেল হেফাজতের (Jail Custody) মেয়াদ। আগামী ২২ মে পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নীলাদ্রি দাস, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, এস পি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচাৰ্য এবং চন্দন মণ্ডলকে থাকতে হবে জেল হেফাজতেই। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। অন্যদিকে, এদিন সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয় অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ১৯ জুন পর্যন্ত অয়ন ও শান্তনুর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে সোমবার আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি পাঁচবারের বিধায়ক। আমাকে যদি জামিন দেওয়া হয় তাহলে সিবিআইয়ের আপত্তি কোথায়? আমি তো তদন্তে কোনওরকম অসহযোগিতা করছি না। আমি ৭৩ বছর বয়সে কী জেলে বসে থাকব? তবে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিচারককে বলেন, প্রতিদিনই একই ধরনের ঘটনা চলছে। আমরা কী বলব, সিবিআই কী বলবে সবই আপনি জানেন। যারা তদন্তের আওতাভুক্ত হয়নি, তারা এখনও এসএসসি-তে (SSC) কাজ করছেন, বেতনও পাচ্ছেন। তারা যদি বাইরেই থাকে, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে কী এমন হবে?
তবে এদিন পাল্টা সওয়াল করে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবীও। মুখবন্ধ খামে গোপন জবানবন্দির নথি বিচারকের হাতে তুলে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে বলা হয়, এটা দুর্নীতির মামলা। রাজনৈতিক প্রভাবে কেউ যদি কোনও সরকারি পদ পেয়ে দুর্নীতি করেন তাহলে কেন সেটার তদন্ত হবে না? এরা কি স্বাধীনতা সংগ্রামী যে তদন্ত হবে না? এদিকে, পার্থর পাশাপাশি এদিন চন্দন মণ্ডল, নীলাদ্রি দাস, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহার আইনজীবীরাও যে কোনও শর্তে তাঁদের মক্কেলের জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু আদালত উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ছ’জনকেই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার জেরে আপাতত জেলেই কাটাতে হবে পার্থ সহ বাকি ৬ জনকে।