অ.গ্নিগর্ভ মণিপুর!৩ ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলল সরকার

0
1

মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে তিন ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলল সরকার। রবিবার সকালে এই তিন ঘণ্টা সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগ দেওয়ার জন্য সাময়িক ভাবে এই কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:মার্কিন মুলুকে শপিংমলের ভেতরে এলোপাথাড়ি গু.লি! শিশু সহ নি.হত কমপক্ষে ৯

এখনও উত্তপ্ত মণিপুর। বিক্ষোভ থামছে না কোনওভাবেই। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছেই।ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪ কোম্পানি সেনা মোতায়েন রয়েছে। তাও বাগে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি।কেন্দ্রের তরফে আরও ২০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

মেতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে। বুধবার থেকে পরিস্থিতি আচমকাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । কিছু জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। বিক্ষোভ থামাতে নামানো হয় সেনা ও অসম রাইফেলস বাহিনীও ।রাজ্যপাল শর্তসাপেক্ষে ‘শুট অ্যাট সাইট’-র নির্দেশও দেন। এত কিছুর পরও শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। সেই কারণেই শুক্রবার থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্র । জারি করা হয় ৩৫৫ ধারা।

ফের শুক্রবার ও শনিবার ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে কয়েক জায়গায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও নিরাপত্তা বাহিনী আনা হচ্ছে রাজ্যে। অন্যদিকে, রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে শনিবারই সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি- দুজনেই রাজ্যে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির একযোগে কাজ করা উচিত বলে জানান। সাধারণ মানুষের কাছেও রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার আর্জি জানাবেন তাঁরা, এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত , শুক্রবার রাতে চুড়াচন্দ্রপুর, যেখান থেকে এই অশান্তির শুরু হয়েছিল, সেখানে সশস্ত্র কিছু মানুষের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কমপক্ষে প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েকশো সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ও নিহতদের আনা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে এখনও অবধি রাজ্যে সংঘর্ষে মোট কত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি।