অমর্ত্যকে ‘অসম্মান’: প্রতিবাদে ‘প্রতীচী’র সামনে অবস্থান, বিশ্বভারতী-উপাচার্যর তীব্র নিন্দা বিশিষ্টদের

0
4

অমর্ত্য সেনকে ‘অসম্মানের’ প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই ‘প্রতীচী’ বাড়ির সামনে আন্দোলন শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো শনিবার প্রতীচীর সামনে বাউলশিল্পীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেছিলেন বিশিষ্টজনেরা।রবিবারও সেই অবস্থান চলছে। গান, কবিতা, ছবি আঁকার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।সেখানে রয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকেরা। রবীন্দ্রজয়ন্তী পর্যন্ত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার কথা।

প্রতিবাদে উপস্থিত কমবেশি সকলেই কড়া ভাষায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনা করেছেন। সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন সবাই। তাদের বক্তব্য, ‘‘সবটাই ঘটছে বিজেপির নির্দেশে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বিজেপির প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানো হয়েছে। সবটাই পরিকল্পনামাফিক করা হচ্ছে।’’

জমি-বিতর্কে অমর্ত্যের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রতীচীতে গিয়ে নোবেলজয়ীর হাতে জমির নথিও তুলে দিয়ে এসেছেন। বুধবার মালদহ সফরে যাওয়ার পথে বোলপুর স্টেশনে দলের নেতাকর্মীদের বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ-নোটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ৬ এবং ৭ মে অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো এই প্রতিবাদ মঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অমর্ত্যকে নোটিশ দিয়ে বিশ্বভারতী জানিয়েছিল, ৬ মে, শনিবারের মধ্যে বিতর্কিত ১৩ ডেসিবেল জমি খালি করে দিতে হবে। এই নোটিশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য। সেই মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ, বীরভূম জেলা আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী। উচ্ছেদ-নোটিশে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি কোর্টের নির্দেশ, ১০ মে দুপুর ২টোয় জেলা আদালতে এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি করতে হবে।