রায় বাড়িতে গানের আসর, নচিকেতার কন্ঠে ফেলুদার নস্টালজিয়া!

0
4

বাঙালিকে মগজাস্ত্রের তীক্ষ্ণতার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল রায় বাড়ির মানিক। ১০২ তম জন্ম শতবর্ষে বাঙালি চলচ্চিত্র জগৎ (Film Industry) থেকে সাহিত্য মননে শুধুই সত্যজিৎকে নিয়ে আলোচনা। প্রবীণ থেকে নবীন সব প্রজন্মই বুঁদ ফেলুদার নেশায় (Feluda Magic)। বাদ পড়েননি শিল্পী নচিকেতাও (Nachiketa Chakraborty)। সত্যজিৎ পুত্রের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। তাই এবার ফেলুদার গান গাইলেন নচিকেতা (Nachiketa)। একটা গানের অ্যালবাম লঞ্চ যে এতটা আন্তরিক এবং অভিনব হতে পারে, তা না দেখলে সত্যি বিশ্বাস করা মুশকিল। নচিকেতার গলায় ফেলুদার গান শুনে অভিভূত সন্দীপ রায় (Sandip Ray) বললেন,”বহু আগে থেকেই আমি তোমার অনুরাগী।” রায় বাড়ির বৈঠকখানায় বসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন শিল্পী নিজেও।

নচিকেতা মানেই বিদ্রোহের কথা, নচিকেতা মানেই বুকের ভিতর লুকিয়ে থাকা আগুনের বহিঃপ্রকাশ।এতদিন নিজের ভাবনার জন্য মানুষের গান লিখেছেন তিনি। তবে এবার প্রবাদপ্রতিম সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) জন্য গান লিখে, সুর করে, সেই গান নিজে মানিক বাবুর বাড়িতে গিয়ে গেয়ে শোনাবেন বলে কথা দিলেন নচিকেতা। রবীন্দ্রনাথের পরে এত বড় ক্রিয়েটিভ আন্তর্জাতিক বাঙালি আর জন্মায়নি বলেই মত তাঁর। সত্যজিৎ পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায় সহ গোটা রায় পরিবারও নচিকেতার গানে মুগ্ধ। সন্দীপ রায় নিজে নচিকেতাকে বাড়ির অন্দরমহল ঘুরিয়ে দেখালেন । হিমালয় প্রমাণ মানুষটার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির অলিন্দ ছুঁয়ে প্রণাম করলেন নচিকেতা। শিল্পী বলছেন, ফেলুদাকে নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন ছিল,কিন্তু সাহস হয়নি। অভিজিৎ দুর্দান্ত গান লিখেছে। বাবুদাকে তা জানাতেই উনি বললেন,ফেলুদা নিয়ে যখন গান, তখন রায় বাড়িতেই হোক। এর থেকে বড় পাওনা আর কী বা হতে পারে। এই গানের মিউজিক করেছেন দুই তরুণ সুরকার ও নচিকেতার অনুরাগী কৌস্তুভ ও সৌম্যদীপ। সত্যজিৎ অনুরাগী অভিজিৎ পাল ফেলুদা নিয়ে এই গানটি লিখে নচিকেতাকে জানান। গানের মাধ্যমে নচিকেতা হয়ে উঠেছেন তোপসে।

কথায় গানে সময় ঘড়ি কখন যে এগিয়ে গেছে তা খেয়াল করেননি শিল্পী বা বাড়ির সদস্য কেউই।সন্দীপ রায়ের অনুরোধে নচিকেতা গাইলেন, জয়বাবা ফেলুনাথ ছবিতে কাশীর ঘাটে মছলিবাবার দর্শনে সেই রেবা মুহুরীর গাওয়া বিখ্যাত ভজন, “মোহে লাগে লগন গুরু।” আবেগে ভাসল রায় পরিবার। বাড়ির সদর দরজার কাছে পৌঁছেও যেন পিছনে ফিরে তাকানোর লোভ সামলাতে পারলেন না নচিকেতা। কন্ঠে তখন সত্যজিৎ নস্টালজিয়া..

“ফেলুদা…

তুমি আলাদা

ফেলুদা মানেই জমজমাট।”