ফের একবার আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে ধর্না শুরু করেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটরা। তাদের দাবি, জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংকে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়াও তাদের দাবি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেই রিপোর্টও সকলের সামনে প্রকাশ করার।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন,” এভাবে আমাদের মেয়েদের সম্মান ক্ষুন্ন করা যাবে না। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। গোটা দেশের মেয়ে তাঁরা। তাঁদে পাশে দাঁড়িয়ে আছে ভারত। আমিও আমাদের কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আইন সবার জন্য এক। শাসকের আইন এই যোদ্ধাদের মর্যাদাকে হাইজ্যাক করতে পারে না। আপনি তাঁদের আক্রমণ করতে পারেন, কিন্তু তাঁদের আত্মাকে ভাঙতে পারবেন না। এই লড়াই সত্যের লড়াই। এবং এই লড়াই চলবে। আমাদের কুস্তিগীরদের আঘাত করার সাহস করবেন না। গোটা জাতি তাঁদের কান্না দেখছে এবং জাতি আপনাকে ক্ষমা করবে না। আমি আমাদের কুস্তিগীরদের আবেদন করছি যাতে তাঁরা শক্তিশালী থাকেন। তাঁদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
Disrobing the honour of our daughters in this manner is utterly shameful. India stands by its daughters and I as a human being definitely stand by our wrestlers. Law is one for all. “Law of the ruler” cant hijack the dignity of these fighters. You can assault them but can’t break…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 4, 2023
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে আন্দলনকারী কুস্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের সংঘাত হয়। অভিযোগ হঠাৎই পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এমনকী তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। ঘটনার পর যন্তর মন্তর এলাকা সিল করে দেয় দিল্লি পুলিশ। বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধে থেকেই তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। আচমকাই রাতে তাঁরা এসে মারধর করেন এবং মহিলা কুস্তিগিরদেরও গালিগালাজ করেন। তাঁদের দাবি, এতে দুই আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গতকাল যন্তর মন্তরের অবস্থান বিক্ষোভের জায়গায় কিছু খাটিয়া নিয়ে এসিছেলেন আম আদি পার্টির এক নেতা। তবে তিনি কোনও অনুমতি ছাড়াই খাটিয়া নিয়ে এসেছিলেন সেখানে। সেই সময় পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে তাঁর সমর্থকরা মারমুখী হয়ে পড়ে। ট্রাক থেকে খাটিয়া নামাতে উদ্যত হয় তারা। এরপর ছোটখাটো সংঘর্ষ বাঁধে।”
আরও পড়ুন:Breakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ