ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা (BJP Leader) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। প্রহর গুনছিলেন, ভেবেছিলেন বিপাকে পড়বে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। কিন্তু সে গুড়ে বালি! ব্যর্থ হয় শুভেন্দুর প্রতিহিংসার রাজনীতি। গতকাল, বুধবার সকাল ৮টা থেকে একটানা ৩০ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা ও তল্লাশির পর কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি ও অফিস ছেড়ে কার্যত খালিহাতে বেরিয়ে গেলেন আয়কর দফতরের কর্তারা (Income Tax Officials)। এরপরই বিধায়ককে নিয়ে তাঁর অনুগামী ও সমর্থকরা উত্তর দিনাজপুরে ”বিজয় মিছিল” বের করেন। তল্লাশির শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। দাবি করেছিলেন, “রায়গঞ্জের বিধায়ক কোনও দুর্নীতি করে না। মানুষের জন্য কাজ করে। কাল এটা প্রমাণ হয়ে যাবে। সত্যের জয় হবেই”!
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ কল্যাণীকে বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বিধায়কের বাড়িতেই হানা দিয়েছিলেন আয়কর আধিকারিকরা। বুধবার সকালে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি এবং আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের তথ্য তল্লাশি করতেই হানা দিয়েছে ইডি। পরে জানা যায়, অভিযানে শামিল আয়কর আধিকারিকরাও। এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
শুধু কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি ও অফিস নয়, তাঁর গ্রামের বাড়ি ও গাড়ির শো-রুমেও তল্লাশি চালানো হয়। এমনকি, বিধায়কের হিসাবরক্ষক, ম্যানেজার, ব্যবসার অংশীদারদের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। রাতভর চলে সেই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ।
গত বছর মার্চ মাসে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কৃষ্ণ কল্যাণীকে হুমকি দেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন শুভেন্দু। উঠে দাঁড়িয়ে পাল্টা প্রতিবাদ করেন কৃষ্ণ। শুভেন্দু কৃষ্ণের দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু বলেছিলেন। দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। পরে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষ্ণ অভিযোগ করেন, শুভেন্দু যাওয়ার সময় তাঁকে হুমকি দেন, তাঁর বাড়িতে আয়কর হানা দেবে। এই বিষয়টি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও তখন এনেছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। বছর ঘুরতেই হুমকি সত্যি করে বিধায়কের বাড়ি ও অফিসে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। কিন্তু নিট ফল জিরো। খালি হাতেই ফিরতে হল তদন্তকারীদের। মুখ পুড়ল শুভেন্দুর!