নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেহালায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি ও ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি

0
1

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি এমন অনেকের নাম উঠে এসেছে, যাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে পরিচিত নন। তাঁদের মধ্যে একজন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। যানা কালীঘাটের কাকু নামেই অধিক পরিচিত৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বেহালার বাড়িতে পৌঁছন সিবিআইয়ের ৬-৭ জন আধিকারিক।কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।সিবিআইয়ের দাবি, প্রাথমিকে চাকরি বিক্রির জন্য কুন্তলের থেকে টাকা পৌঁছত সুজয়কৃষ্ণর কাছে।

তার নাম প্রথম শোনা যায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে। পরে  গোপাল দলপতিও সুজয়কৃষ্ণের নাম উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ টাকা পৌঁছে দিতেন এই ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই সুজয়কৃষ্ণকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল। পরে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্কের নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই সব নথি তিনি সিবিআইকে জমা দিয়েছেন বলেও সুজয়কৃষ্ণের দাবি৷

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণের লেনদেনের একটি সূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনের কথা তিনি নিজেও কবুল করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। ব্যবসার জন্য তিনি শান্তনুর কাছে থেকে ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি কিনেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। লেনদেন হয়েছিল চেকের মাধ্যমে।

এরই পরাশাপাশি, একই দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা হানা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ‘ভজা’র বাড়িতে৷সেখানেও শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের স্বার্থেই এই জোড়া অভিযান৷ পাশাপাশি বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকেরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।