প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দু.র্নীতির মূল পাণ্ডা মানিক! সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল CBI

0
2

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে সাফ জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতি হয়েছে তার মূল পাণ্ডা মানিক ভট্টাচার্যই। পাশাপাশি বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) সিবিআই সাফ জানিয়েছে, মানিক যে বয়ান দিয়েছেন আর বাকিদের যা বয়ান তার মধ্যে কোনও মিল নেই। ইতিমধ্যে প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকেও (Ratna Chakrabory Bagchi) জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, রত্না চক্রবর্তী বলেন, কিছু সময়ে চাপের মুখে তাঁকে বিভিন্ন কাগজে সই করতে হয়েছে। পাশাপাশি মানিকের বিষয়ে রিপোর্টে সিবিআই শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৬ ও ২০১৭-র টেটে বিপুল নিয়োগ হয়েছিল বেআইনিভাবে এবং সব নিয়োগের পিছনে ছিল বড় অঙ্কের টাকার খেলা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও অভিযোগ, জেলাভিত্তিক চাকরির দামও ছিল আলাদা আলাদা। কিছু কিছু জেলায় দাম নিয়ে দরাদরিও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এছাড়াও কিছু চাকরিপ্রার্থীকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই কারণেই তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। ওই ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

বোর্ডের যে বৈঠকে এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমের ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের থেকে কম। কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হননি। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, উর্দু মাধ্যমের ২ জন প্রার্থী যাঁরা বাংলা ভাষায় টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের বাংলা মাধ্যম স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের গোটা পরিবারই বর্তমানে জেলে রয়েছে। মানিকের পর তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর এমন পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের এই রিপোর্ট মানিকের মাথাব্যথা বাড়াবে এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।