হারিয়ে যেতে বসেছে শ্রমসঙ্গীত।প্রত্যন্ত এলাকায় শ্রমজীবী মেয়েদের প্রাত্যহিক জীবনের গান আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।অবিলম্বে গানগুলির সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এ নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে উইমেন্স কলেজ ক্যালকাটার জেন্ডার সেনসিটাইজেশন সেল এবং আই.কিউ.এ.সি। আলোচনার মূল বিষয় ছিল, ‘নারীর গান-শ্রমের গান’।
আরও পড়ুন:পাল্টায়নি সিপিএম, জোড়া খুনের খলনায়ক হার্মাদ দুলালকে মাঠে নামিয়ে প্রমাণ করলেন সেলিমরা!
বিষয়টিকে ‘মায়েদের গান’ বলে উল্লেখ করেন বক্তা চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। যিনি গত তিন দশক ধরে বিষয়টি নিয়ে নিরলস গবেষণা করে চলেছেন। তাঁর বক্তব্য, শ্রমজীবী মেয়েদের গানের মধ্যে সন্তান প্রসব থেকে বীজ বোনা, বিবাহ থেকে ইঁট তৈরী সব ধরণেরই গান আছে।পাশাপাশি তিনি জানান, শিশুদের ‘ঘুমপাড়ানি’ গান এখন ইউনেস্কো দ্বারা স্বীকৃত শ্রমগান। এই গান অবশ্যই মায়েদের গান- বংশপরম্পরায় মেয়েরাও এই গান গেয়ে আসছেন।
কথায় ও গানে দিয়ে বিষয়টিকে আরও মনোজ্ঞ করে সকলের সামনে তুলে ধরেন চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়।আলোচনায় প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েদের ভোরবেলা থেকে ঘরকন্নার প্রতিটি পর্যায়ের হৃদয় থেকে উৎসারিত গানের উল্লেখ করেন এবং তাঁর কন্ঠে গানগুলি দর্শকদের সামনে পরিবেশন করেন।সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এইসকল গান আজ অবলুপ্তির পথে। তাই এই গানগুলির সংরক্ষণের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। আলোচনার শেষে তিনি বলেন, তাঁর গবেষণা ও নিরলস পরিশ্রম তখনই মর্যাদা পাবে যদি অবিলম্বে গানগুলিকে সংরক্ষণ করা হয়।