১০১-তম জন্মদিনে সুরেলা স্মৃতিতে জীবন্ত মান্না দে!

0
2

কিংবদন্তি মান্না দে (Manna Dey) , শতবর্ষ পেরিয়ে যাবার পরও মে মাসের প্রথম দিনে তাঁকে ছাড়া বাংলার সঙ্গীত জগত (Bengali music industry) অন্য কিছু ভাবতেই পারে না। আজ তাঁর ১০১ তম জন্মদিন। গতকাল রাত বারোটার পর থেকেই আবেগঘন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। মুকুটটা সত্যিই পড়ে আছে কিন্তু রাজা নেই। সঙ্গীত জগত ছিল তাঁর ভালোবাসার বিচরণ ক্ষেত্র। মান্না বিয়োগে সেই রাজপ্রাসাদে আজও শূন্যতা।

গ্রামোফোন দিয়ে তাঁর সঙ্গীতযাত্রা শুরু। এরপর সভ্যতার উন্নতির তালে তাল মিলিয়ে টেপ রেকর্ডার, সিডি-ডিভিডি ঘুরে এখন ডিজিটাল যুগ। কিন্তু অবাক করার মত ব্যাপার হল ইন্টারনেটের দুনিয়াতেও সঙ্গীত প্রেমীরা সব থেকে বেশি খোঁজেন মান্না দে-কে (Manna Dey)। বাংলা হোক কিংবা হিন্দি চলচ্চিত্র হোক বা আধুনিক গান, মান্না দে ছাড়া অন্য কারোর কথা ভাবতেই পারতেন না সুরকার থেকে প্রযোজক পরিচালকরা। মান্না গাইবেন এই কথা মাথায় রেখে সুর সৃষ্টি হত, কথা বসাতেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তম কুমার -মান্না দে জুটির কথা কেই বা ভুলতে পারে। একের পর এক কালজয়ী সৃষ্টি বাঙালি ও বাঙালি মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। শিল্পী তাঁর জীবনের বহু সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গায়ক হওয়াটা মূল উদ্দেশ্য ছিল না ।তিনি চেয়েছিলেন সুরকার হতে। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু গান সুরও করেছিলেন মান্না। আরেক বিখ্যাত শিল্পী সুপ্রীতি ঘোষ মান্না দে’র সুরে গান গেছেন ১৯৪২ সালে। ‘বীরাঙ্গনা’, ‘তমসা’র মতো বহু হিন্দি ছবিতেও মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন মান্না দে। শতবর্ষ পেরিয়েও মান্না ম্যাজিক একই রকম ভাবে তাঁর কন্ঠের মোহময়তায় আবিষ্ট করে রেখেছে শ্রোতাদের। কয়েক দশক পেরিয়ে গেছে কিন্তু আজও চির নবীন ,চির রোমান্টিক মান্না দে -কে আমরাও জানাই জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা আর আকন্ঠ ভালোবাসা।