একচিলতে ঘরে সংসার চালাতে ভরসা টিউশন, এমন পঞ্চায়েত প্রধান আপনাকেও গর্বিত করবে

0
1

বছরের পর বছর একই রুটিন। ভোর ভোর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পঞ্চায়েত অফিসে দিনভর কাজ সেরে। বিকেলে ফেরেন একচিলতে ঘরে। একচালা ঘরই মাথা গোঁজার ঠাঁই। সেই শুরু হয় টিউশন। সেখান থেকে সামান্য যা রোজগার হয়, তাতেই চলে কষ্টের সংসার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের এমন জীবন কাহিনী আপনাকেও গর্বিত করবে।


আরও পড়ুনঃধীরে ধীরে ঘনাচ্ছে মেঘ, সপ্তাহের শুরুতেও রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর সর্দার। নেই কোনও আড়ম্বর, প্রাচুর্য্য। নেই কোনও দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারি সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বাঁকা পথে উপার্জনের লেশমাত্র নেই তাঁর জীবনে। পঞ্চায়েত প্রধান আজও ছাত্র পড়িয়েই নিজের সংসারটুকু চালান। একচালা অ্যালবেস্টারের ছাউনির ঘরে সংসার। বর্ষার বৃষ্টি ঘরে ঢুকে যায়। প্রধানের স্ত্রীও সংসার চালাতে সেলাইয়ের কাজ করেন।

প্রবীরবাবু ২০১৮ সালে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে জেতেন। স্বচ্ছভাবমূর্তি জন্য তাঁকে বসানো হয় প্রধানের আসনে। নিয়ম করে নিত্যদিন কখনও সাইকেলে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে পঞ্চায়েতে যান। সেখানে পরিষেবা দেন সাধারণ মানুষের। পঞ্চায়েতের কাজ শেষ করে আবার প্রতিদিনের মতো ছাত্র পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রবীর সরদার।


সাদাসিদে দিনযাপনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর সর্দার। তাঁর কথায়, “আমরা যখন মানুষের কাজ করবো বলেই এখানে আসি, তাহলে তো বিলাস বহুল জীবনের কোনও মানেই হয় না। আমাদের নেত্রীকে দেখে এগুলো শেখা।”