মারণ ভাইরাস জীবনে থাবা বসালেও, থাবা বসাতে পারেনি আত্মবিশ্বাসে। আর সেই আত্মবিশ্বাসের ভর করেই জীবন এগিয়ে চলেছে সদর্থক দিকে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে তাই ক্যাফে পজিটিভ এবার পাটুলিতে।এই ক্যাফেটেরিয়ার সব কর্মীই এইচআইভি পজিটিভ৷
রবিবার পাটুলিতে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ‘ক্যাফে পজিটিভ’-এর উদ্বোধন করলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ছিলেন কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘OFFER’-এর কর্ণধার কল্লোল ঘোষ প্রমুখ বিশিষ্টরা।
কুণাল ঘোষ বলেন, এইচআইভি পজিটিভ মানেই কিন্তু সমাজে অচ্ছুত নয়। ওরা সমাজে মূলস্রোতে থাকার মতো এবং সবদিক থেকে স্বাভাবিক। একটি হোম আছে। এইচআইভি আক্রান্ত শিশুরা থাকে। ১৮ বছরের পর তো আর হোমে রাখা যায় না। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছে ‘অফার’। এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। ওদের নিয়েই দারুণভাবে চলছে ‘ক্যাফে পজিটিভ’।
কাউন্সিলর তথা আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, থিঙ্ক পজিটিভ, ডু পজিটিভ। ‘ক্যাফে পজিটিভ’ পাটুলিতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত মানুষরা সুযোগ পেলে অনেকের থেকে ভালো কাজ করবে।
কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, ‘ক্যাফে পজিটিভ’ এর মত একটি ভালো উদ্যোগকে এখানে জায়গা দিতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।
সংস্থার কর্ণধার কল্লোল ঘোষ বলেন, ‘ক্যাফে পজিটিভ’ শুধুমাত্র রাজ্যে বা দেশে নয়, বিশ্বের মধ্যে আর দুটি নেই। কেন ক্যাফে পজিটিভ? কারণ, ক্যাফের কর্মীদের প্রত্যেকেই নিজের শরীরে এইচআইভি মারণ ভাইরাস বহন করছেন জন্মসূত্রে। এই ক্যাফে সামলাচ্ছেন শুধুমাত্র এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্তরা।
ক্যাফেতে যে চা, কফি, কেক, পেস্ট্রি তৈরি হয়।
সারা দেশে ৩০টা আউটলেট করতে চান তাঁরা। প্রতি দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা খোলা থাকছে এই ক্যাফে। আসলে এই মানুষগুলো সত্যি হারতে শেখেননি। তাঁরা চান, অধিকার আর সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে।