আগামী ৬ মে রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে ব্রিটেনের রাজা চার্লস III-এর(King Charles)। এই অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজা হয়ে যাবেন চার্লস। জানা যাচ্ছে রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ব্রিটেনের(Britain) জনগণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। একই সঙ্গে রাজার প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে বলা হয়েছে সকল ব্রিটেনবাসীকে। উল্লেখ্য, শনিবার এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে যেখানে রয়েছে এই সার্বজনিক শপথ গ্রহণ। তবে এই সর্বজনীন শপথ গ্রহণের পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট বেশ কিছু সাংসদ। তাদের দাবি, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার মত সিদ্ধান্ত।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে সকল পরিবর্তন আনা হয়েছে তা হল, রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন একজন মহিলা পাদ্রী। পরে রাজা স্বয়ং শপথ নেবেন। সেখানে আয়োজন করা হচ্ছে সর্বজনীন শপথ গ্রহণ। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের শীর্ষ নেতৃত্বরা প্রথমবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি ব্রিটেনে ব্যবহৃত অন্যান্য ভাষাও যুক্ত থাকবে। ব্রিটেনে ব্যবহৃত সব ভাষাতে হবে গানের অনুষ্ঠান। এই প্রথমবার তিনটি আলাদা আলাদা শপথ গ্রহণ করবেন রাজা।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকের জন্য রাজকীয় প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যাভিষেক হল সেই অনুষ্ঠান যেখানে রাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজমুকুট পরানো হয়। প্রথম সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর মৃত্যুর জন্য শোকের সময় শেষ হওয়ার পরে এই অনুষ্ঠানটি হয়। এই অনুষ্ঠানের খরচ প্রায় ২৬ বিলিয়ন (২৫০ মিলিয়ন পাউন্ড) বলে জানা গেছে। জমকালো অনুষ্ঠানের জন্য সেরে ফেলা হয়েছে সব রকম প্রস্তুতি। সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা অংশ নেবেন এই অনুষ্ঠানে। সেই সঙ্গে এই কর্মসূচিতে ড্রেস কোড, পারফরম্যান্স, মিউজিক, সঠিক সময়সূচির তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, লন্ডনের সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান। যার মানে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে সকাল টা এবং পশ্চিম উপকূলে ভোর ৩টেয় শুরু হবে এই অনুষ্ঠান ৷